কন্ঠ ছেড়ে মন্টু যে গান
গাইতো বারে বার
আমার কাছে সবার কাছে
মূল্য ছিল তার।
নিত্য নতুন বনভোজনে
গায়ক ভূমিকায়
নানান গানের সুরে সুরে
সব যেতো থমকায়।
ওহিদ ছিল কথার রাজা
ফুটতো মুখে খই
সব নীরব নীরবতা
বানাতো হইচই!
বেরঙ কথায় রঙ মিশিয়ে
দিয়ে লাল নীল
হাসির ঝড়ে সবার পেটে
লাগিয়ে দিতো খিল।
গরুর মতো গুতোগুতি
শুরু হতো এক হলে
বাবার শাসন, চোখ রাঙানি
ভুলার কৌতুহলে!
কুকুর বিড়াল ডেকেছে ঐ
ভাইয়া যেন ওঠে ডেকে
দূরে কোথাও বেজেছে গান
আপুও গায় হৃদয় থেকে!
শফিক কাঁদে বেশ ফুপিয়ে
আরো দেই ক্ষ্যাপায়ে!
ভেংচি কাটি মুখ বেকিয়ে
ন্যাচাং ফ্যাচাং লাফায়ে।
তুনু কাঁদে জোরসে জোরে
মাটির বুকে গড়ায়ে
শরীফ আমি ভেংচি কাঁটি
মুখ-জিববা নড়ায়ে।
পিঠটা হঠাৎ উঠলো জ্বলে
ওরে তোরা পালারে...
ডলি আপুর হাতের ছড়ি
দিছ্ছে ভীষণ জ্বালারে!
শান্ত হলে আবার এলো
মোড়ল চাচার নালিশটা
মায়ের কাছে দিল ঝেড়ে
আম চুরির সালিশটা!
ওরে পাঁজি, বলেই মা যে
জুড়লো সপাসপ
শেষটা শুধু মনে আছে
কান ধরে উঠবস!
ভালোয় ভালোয় এমনি করে
গেলো কিছু দিন
মনের কাছে স্বভাব আবার
রেখে গেল ঋণ।
পাখির বাসা ভাঙতে গিয়ে
ভাঙলো শেষে হাত
মনে পড়ে কেঁদে কেঁদে
কাটানো সেই রাত।
এমনি হাজার রঙ বেরঙের
স্মৃতির পাহাড় ঘেরা
মধুর চেয়ে ও মধুর আমার
ছোট্ট শৈশবেরা।
রচনা 03/05/1994
যশোর
_____________
পুনশ্চ: চরিত্রগুলো আমার জীবনের সাথে মিশে আছে।
জীবনের বাস্তবতায় একেক জন একেক জায়গায়।সবাইকে খুব মনে পড়ছে।
সবাইকে স্মরণ করে পুরাতন এই কবিতা,,,,,