কেনো এমন, আনাগোনা
শুনেনাতো, কোনো মানা
বিরহ যে, কেনো আসে
তোমার কীগো, জানা আছে?


কেনো তুমি, অমন করে
চেয়ে থাকো, চোখে চোখে
বেদনারো, জলে ডুবে,
কী যে নাও, তুমি লুফে!


দূরে থাকি, বলে তুমি
ভাবো কেনাে, একা আমি
ছায়া থাকে, সঙ্গী সাথী
বুকে রাখি, ব্যথা গুলি।


নীরবে যে, নীরব কথা
অবহেলা, খেলে খেলা
বলো ওগো, বলো প্রিয়া
সে পেলো কোন, মধুর জায়া?


গানে গানে, আজি হবে
মিলনেরও, যতো কথা
আঁখি নীড়ে, বাসা বাঁধে
প্রেমোময়ী, সেতো রাধা।


বদনখানি, চেনা জানা
মানি ওগো, যাহার মানা
যমুনারও, তীরে উঠে
সে কোন তারে, সুরের বীনা?


মালা দেখি, মালা হাতে
উঠি যদি, ওগো প্রাতে
চুপি চুপি, কথা বলি
পাতা নাহি, নড়ে তাতে।


যারা আসে, ফুল কুড়াতে
তারা সাড়া, বুঝে থাকে
গগনেও, মেঘা হাসে
সখা ভেবে, থাকে লাজে।


পেতে পারে, যদি  কিছু
আমার নয়ন, বোঝে শুধু
বিরহিণী, সাজে কেনো
চলো তুমি, পিছু পিছু?


বেঁধে রাখো, প্রেমোসুধায়
হারা বোনা, সেতো মানো
মিটিবেগো, তৃষা বাহার
তারে ঘরে, আনো এবার।


ব্যথা ভুল, কেঁদে উঠে
জেগে থাকে, রাতে দিনে
না বাসিলে, ভালো তারে
সমাধিতে, যেও নিয়ে।


তোমার পথের, কাঁটা হয়ে
দাঁড়াবোনা, শুধু শুধু
বিদায় ক্ষণে, একটু তুমি
পাশে এসো, ওগো নিশু।


দেখিবোনা, তোমারে আর
তুমিও যে, মোরে আবার
সুখী হয়ো, তুমি শুধু
ভুলে যেও, ওগো বধু।


স্বরবৃত্তে লেখা
তারিখ
২৬.০৫.২১