বেদনায় ডুবে আছি বেদনা গিলে
মনুষত্ব হারিয়েছি বহু আগে মানবতা ভুলে।


যে নেতা স্বাধীন করলেন দেশ নিজের জীবন বাজি রেখে
অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালী প্রতিদান দিল তাঁকে হত্যা করে।


ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মীরজাফর ছিলো বলে
২০০ বছর ভুগতে হয়েছে পরাধীনতার শৃঙ্খলে জ্বলে পুড়ে।
পাকিস্তান রাষ্ট্র এল তারপরে, শোষন ও বৈষম্যের মাত্রা গেলো আরো বেড়ে।


অনেক নেতা এলেন গেলেন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করলেন
অথচ বাঙ্গালীর মর্মবেদনা কেবল শেখ সাহেব উপলব্ধি করলেন।


স্বায়ত্তশাসন, স্বাধিকার আন্দোলনের গতিপথ পাল্টে
দিলেন স্বাধীনতার ডাক
৯ মাসের যুদ্ধজয়ে বাঙ্গালী পেল স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাদ।


যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি বিনির্মাণ
স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ছিলো অঙ্গীকার
কাঁধে তুলে নিলেন রাষ্ট্রের দায়িত্ব ভার।


জনতার নেতা জনতার কাতারে মেনে নিয়েছিলেন নিজের অরক্ষিত অবস্থান
বাঙ্গালীকে স্বজন ভেবে হৃদয়ে দিয়েছিলেন স্থান
খুব কাছের মানুষটির প্ররোচনায়
ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিল তাঁর অকুতোভয় প্রাণ
জাতি হলো পিতৃহারা, খুনি মোশতাক তার নাম।


কাঁদো বাঙ্গালী,
কেঁদেছ হাজার বছর ধরে, আজো কাঁদো
পিতৃহারা শোকে
হে মহান পিতা তুমি শান্তিতে ঘুমাও টুঙ্গি পাড়ার নিভৃত পল্লীতে।



রচনাকাল
১৬.০৮.২০২০