নাম তার অঞ্জনা
কমলাপুর বস্তি ছিল ঠিকানা
মা ছিল অবলম্বন, বাবার ঘরে অন্যজন
ছোট্ট অঞ্জনা, হাসিতে সুরঞ্জিতা
শরীর তার লিকলিকে, কথায় খই ফুটে
শৈশব কাটে ফুটপাতে, এদিক ওদিক হাত পেতে।


মা তার ঝি খাটে বাবুদের গৃহ কাজে
অভাব অনটন সংসারে
দু'জনে মিলে যা রোজগার করে
খেয়ে পরে কোনভাবে জীবনের প্রদীপ জ্বালে।
একদিন মা তার ঠাঁই নেয় হিম ঘরে
বস্তির আগুনে পুড়ে
সব হারিয়ে অঞ্জনা ফিরে যায় ফুটপাতে।


দিন যায় মাস বাড়ে মাসের শেষে বছর
অঞ্জনারও বয়স বাড়ে দেহে তার অঙ্গ ভাঁজে
যৌবনের তরতাজা ফুলের মোহর ফুটে
নব যৌবনা শরীর তার কারো কারো নজর কাড়ে
ইশারায় শিষ দিয়ে কেউ কেউ তার মনের ঘরে  ভালবাসবার আগুন জ্বালে
কিন্তু মনে তার এক জনই ধরে
নাম রহিম মিয়া, তার সাথে জুটি বাঁধে।


ভালোবাসার মানুষ যে দুশ্চরিত্রের
একদা তার মিথ্যে প্রলোভনে সব হারিয়ে বুঝে
সেই থেকে অঞ্জনা ভালোবাসার মোহভুলে
রমনার মোড়ে আজ অব্দি সোহাগ বিক্রী করে।


রচনাকাল
১৫.০৭.২০২০