তুমি আমার জীবন উপন্যাসের নায়িকা
তোমায় নিয়ে সাজে আমার সব গল্প কবিতা
অনুভবে বুঝি জীবন যুদ্ধে হেরে যাবার চোখ তোমার নয়
অধিক কষ্টেও তোমার মুখে ভেসে উঠে হাসি
সুখের বার্তাগুলো উপন্যাসের প্রচ্ছদে লেপটে দেয়
মহাকালের বানী
তোমার মন যেন অথৈ দরিয়া, ডুব সাঁতার দিয়েও পাইনা কোন কুল কিনারা
হাসনা হেনার মতই সুভাসিত তোমার ভালোবাসার ছোঁয়া
চোখে চোখ রাখ লেই কীভাবে যে বুঝতে পারো শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেলো
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গলে দেখি শিয়রে কী যেন কী নিয়ে ভাবো
বুঝি সংসারের অনেক ভেজাল তুমি একাই সারো
নিজে ঠকে অপরের মুখে হাসির ঝুড়ি নির্দিধায় তুমিই সমর্পণ করো
কিছু যন্ত্রনা তোমার মনে দাগ কাটে
সেটা বোঝার আগেই তোমার হাসির চোবল সব এলোমেলো করে ফেলে
বিরক্তির সীমানা থাকে তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে
অসংযত জীবনের বিলাসিতাও ঢুকতে দাওনি তুমি তোমার তিলোত্তমা নগরী তে
তোমার নিরহংকার জীবনের নির্যাসে জমে উঠে সংসারের প্রতিটি গল্প
তোমার হাতের স্পর্শে আমার আঁধার ঘরে জ্বলে  আলো
ধৈর্য, মেধা ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আনে পরম মমতা
জানি আমার অনেক সীমাবদ্ধতা
তবুও স্বপ্নীল সুখগুলো কীভাবে যে হাজির করো যুগল জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে
হিসাব মিলাতে বসলেই তোমার মুখে কবিতা ফুটে-
"আমারটা যাক জলে, তোমার শখ পূর্ণ হোক আগে"।
চিলেকোঠায় এক মুঠো রোদ পড়তেই তুমি বুঝে ফেলো দিনের বার্তা
অত:পর মনের গহীনে লুকিয়ে ফেলো টুকরো টুকরো ব্যথা
অজান্তেই চোখের জলে মনের পাতাগুলো ভিজে
শাড়ীর আঁচল কালের সাক্ষী হয়ে একেকটা দিন পার করে
তােমার কষ্ট আমি বুঝি না,
তোমার অভিনয় কৌশল কষ্টগুলো আমায় দেখতে দেয়না
বুঝতে দেয়না তোমার চাওয়া, পাওয়া, প্রত্যাশা, দু:খ ও বেদনা
হতাশার দুয়ার ভাঙ্গতে গেলেই
দাম্পত্য সম্পর্কের খুনসুটিগুলি উপন্যাসের পাতায় আরেকটি নতুন রোমাঙ্চ সংযুক্ত করে
অন্তর চক্ষু তীক্ষ্ণ বলে জীবন উপন্যাসের প্রতিটি দৃশ্য কল্পে তোমার অভিনয়গুলো ষোলআনা খাঁটি মিলে।


রচনাকাল
১৫.০৩.২১