পারমিতা তোমার দেয়া শেষ চিঠিটা
আজও রাখা আছে আমার বালিশের নীচে
প্রতি রাতে ঘুমের ঔষধ ভেবে রাখি কাছে
কী লিখেছো খুলে দেখিনি কষ্টের সীমানা বুঝে
যত্নে আগলে রেখেছি তোমার হাতের স্পর্শ রয়েছে বলে।


কত না আদর দিয়েছ তুমি ঐ হাতে আমার হৃদয় ছুঁয়ে
বৈশাখের প্রথম প্রহরে দিয়েছিলে ভালোবাসার অঞ্জলি তোমার দু'হাত ভরে
প্রতিটি বসন্তে গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে রাঙ্গিয়ে দিতে মনের চাদর একটু একটু করে
যতদূর মনে পড়ে একদা হেমন্তের আকাশ সাক্ষী রেখে বলেছিলে ভালবাস আমারে
ভালবাস আমার ছেলেমানুষি
একটু রোমান্টিকতায় নাকি তুমি হও উদাসী।


আমি শুনে হাসি, ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে ভাসি
মনে মনে অভিজাত এক সংসারের মালিক বনে যাই
জীবনের আয়োজন সাজিয়ে ফেলি কল্পনার ক্যানভাসে
এইভাবে, যেমন ধর
তুমি আমি শৈল্পিক এক চিলে কোঠার মালিক, যার
দক্ষিণে সুবিশাল বারান্দা, উত্তরে খোলা জানালা
আকাশ তার ছাদ, অন্দরমহলে দুই হৃদয়ের বাস
বসার ঘরে সেতার তানপুরা গীটারের নিত্য উল্লাস।


পারমিতা বাস্তবে আমি সাজিয়েছি কল্পনার সেই চিলে কোঠা
চারপাশে শূন্যতার আহাজারি, আমি নিশ্চুপ থাকি
চিঠি খানা আপন করে নিরালায় তোমার অতীত কথাগুলো ভাবি
ভালবাসার মূল্য যে আমার কাছে অনেক দামী।


রচনাকাল
০১.০৯.২০