আজ স্বাধীনতা দিবস।
রক্তের  বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীনতা।
শুনেছি বাবাকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায়।
কিভাবে নিয়েছিলো জানিনা।
বাবা, মা বেঁচে থাকতে শুনার প্রয়োজন মনে করিনি। ভাবতাম, বাবা-মা  মনে হয় কখনোই  মারা যায়না।
নাহলে কতো কিছু যে জানার ছিলো!  
এখন ভাবি আর আফসোস  হয়।


বাবাকে যখন মেরে ফেলার প্রস্তুতি চলছে,
তখন তারা বড় ধরনের শিকারের খোঁজ পায়।
বাবা তখন তাদের কাছে তুচ্ছ শিকার।
বাবাকে তারা ফেলে চলে যায় আর বাবা পালিয়ে বাঁচেন। একটু বলে রাখি আমার  মাও ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। কখনো হয়তো এই বিষয়টাও আপনাদেরকে বলব।


আর আমার হায়দার মামার কাহিনি ছিলো ভিন্ন।
মামা খুলনা খালিশপুরে একটা কোম্পানিতে চাকরী করতেন। ভীষণ সংস্কৃতিমনা ছিলেন।
নাটক করে বেড়াতেন।
সম্ভবত প্রতিবাদী নাটকই করতেন।


শুনেছি আমার আজাদ মামা লুকিয়ে হায়দার মামাকে খাবার আর প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে আসতেন।


কিছুদিন পর শোনা গেলো,
তারা আমার হায়দার মামাকে হাত পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, কতো নির্মম ছিলো  তারা!


মৃত্যুর পর হায়দার মামার বেতন জমেছিল ৭৮৬৪.১০ টাকা। আর বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন ২০০০ টাকা।
আমার নানা পুরোটাই দান করে দিয়েছিলেন।


স্বাধীনতা কোনো একজনের গল্প নয়.... লক্ষ বাঙালির কাহিনি। তাঁদের  রক্ত, তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে  পেয়েছি এই স্বাধীনতা।


আমরা গর্বিত, আমরা একটি মুখের  হাসির জন্য অস্ত্র ধরতে জানি....