এক...
আমার হৃদয়ে কষ্ট হয়,যখন দেখি প্রত্যাশা থেকে তুমি আজ অনেক দূরে,
মনের স্বপ্ন রাজ্যে একদিন তুমি কতইনা কল্পনার কান্ডারী।
যখন আমার অসহায়ত্বকে পূজিঁ করে নগ্নভাবে আমাকে তিরষ্কার করছিলে,
সেদিন স্নেহের প্রতিটি পরতে ছিলো তোমার ঘৃনা নিন্দা আর অবহেলার চাপ।
তুমি চেঙ্গিস আর হালাকু খানের মতো রাজ্য জয়ের স্বপ্ন দেখছিলে,
সুনামীর মতো প্রলয় নিয়ে এলে কত ভাত্রিম হৃদয়ের পবিত্র বন্দনে,
ছারখার করে দিলে স্নেহ প্রীতি ও প্রেম ভালোবাসার স্বপ্নীল যাত্রা।
সেদিন তোমার নির্দয়তায় চিরন্তন সভ্যতা হারালো তার নিজস্ব স্বকীয়তা।


দুই...
আমার হৃদয় কাঁদছিলো, নাগিনীদের বিষাক্ত দংশনে আমি কাতরাচ্ছিলাম,
ডানাভাঙ্গা পাখীর মতো আযাদীর সুনির্মল হাওয়ায় শ্বাস নিতে কেন যেন কষ্ট হতো।
এক অজানা শিহরণে প্রতিটা মূহুর্ত কালাতিপাত করছিলো তোমার স্বজনেরা,
তুমি তা বুঝনি, তোমার হুংকার ছিলো বিকট, আচরণ ছিলো দানবের মতো।
আজ হয়তো বুঝতে পেরেছো ! অহংকারের মোহে তুমি কল্পনার রক্তিম সুতায়,
চারদিকে স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে যাত্রাপথে এতদিন যে শুধু ব্যর্থতার জাল বুনেছ ?
যার বাস্তবতা অনেক বেদনাদায়ক ও তীরের মতো তীক্ন তোমার জীবনে।
আমরা তোমাকে শিল্পীর তুলিতে আঁকা ভোরের জ্বলজ্বলে সূর্য দেখতে চেয়েছিলাম।


তিন...
আজ যৌবনের প্রথম প্রহরে দাঁড়িয়ে তোমাকে নিয়ে কেন ঝাপসা আলো দেখছি ?
অথচ তোমার জীবনের সুচনা পর্ব ছিলো কতো ঝলমলে ও উজ্জল,
এরই মাঝে আলো আধাঁরের খেলায় হারিয়ে গেছে অনেক বিকাল,
আর সূর্যাস্তর মাঝে মিলিয়ে গেছে জীবনের কতোনা রঙ্গিন সন্ধ্যা,
কত স্মৃতি তাড়িয়ে মারে আজও, কত যুগ চলে গেলো, চলে গেলো আপনজন।
আজও অভিশাপের লোনাজলে ভাসছো তুমি বিশ্বাসীদের মিছিলে,
অমাবস্যার ঘন অন্ধকার পেরিয়ে তুমি কি পারবে স্বপ্নের কুঠির সাজাতে ?
পারবে ? সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে এক দূরন্ত বিকাল আনতে ?
জানি পারবেনা, কারণ তুমি এখনো কল্পনার রাজ্যে জল্পনা করছো।
অবাস্তব সুখের মূর্ছনায় নিজের খেয়াল খুশিতে আজও অট্রহাসি হাসছো ।।