হায়! এ কোন দ্রোহের প্লাবনে ভাসালি
আমার স্বপ্নের ভিটা- ভাঙা কুঁড়ে ঘর,
ও নদী, নদীরে তুই মনের মিতালী
ভেঙে ফেলে কেন আজ করেছিস পর ?
কী এমন দুঃখ ছিল গোপন মর্মরে ?
কী স্বপ্ন বেঁধেছে বাসা বুকের ভেতর ?  
কেঁদে ফিরি কবি আজতোর তীরে তীরে-
বড় আশাহত এই কবির অন্তর !


মানিনা, মানিনা আমি এই বিভাজন
মানচিত্রের খন্ডিত' নীল নকশায়
কোন কাপালিক তোকে করেছে হরন ?
ধিক্ তারে,অধম সে সারা পৃথ্বীময় !
আয় তবে,আয় ফিরে নদীরে আমার,
কসম কোরান,বেদ আর কবিতার ।।


♪ছন্দ:অক্ষর বৃত্ত।


( মহানন্দা নদীর যে অঞ্চলে আমার বাড়ী,সে অঞ্চলের এই নদীটি দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত)সীমান্তিক সন্ধিতে বয়ে চলেছে। আমি আমার স্মরণ কালের পুরো সময়ই দেখেছি,
একই  ঘাটে উভয় দেশের মানুষ একসাথে স্নান,গল্প,মাছ ধরা এমন কী শীতকালে নদীর বুকে জাগানো চরে ফুটবল,কাবাটি ও ক্রিকেট খেলার আয়োজন করত।
কিন্তু,সাম্প্রতিক সময়ে "সীমান্ত পূনঃনির্ধারন" করতে গিয়ে আমার অঞ্চলের পূরো মহানন্দা নদী ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গিয়েছে ! ফলতঃ আমরা বাংলাদেশীরা আগের মত অবাধে এই নদীতে গোসল, যাতায়াত, চলাফিরা করতে পারিনা।শুধু তাই-ই
নয়,কাউকে কাউকে নদীর তীরবর্তী পৈতৃক ভিটার বাড়ী-ঘর ভেঙে নিতে হয়েছে পর্যন্ত!
যেটা,বিশেষত আমার কাছে  খুবই বেদনা দায়ক,খুবই নির্মম…
আমার কাছে মনে হয়,প্রাকৃতিক কোন সৌন্দর্যই সীমান্তের গন্ডীতে বেঁধে দেয়ার কারো অধিকার নেই।


"সবার জন্য প্রকৃতি" এমন প্রতিপাদ্যের দাবীতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। যদি কারো সামান্যতমও ভাল লাগে,স্বীয় শ্রম স্বার্থক মনে করব !)