এই যে অস্ত্রের মুখে বন্দি রেখে
যে তুমি দখল চাও রাষ্ট্র-ক্ষমতার …
আমি কী করে তোমাকে মানি? কী দুঃখ আমার
কবিতায় লিখব তোমার নাম?


কবিতা তো পবিত্র আত্মার ধ্বনি
বয়ে চলা ঝরনার গান, শিশুদের কলরব।
সেত' আকাশের নীল, ঢেউ তোলা নদী
পাখিদের ঐক্যতান…


না, কোন সংগীতেও নয়
তানপুরা, তবলা, বেহালা
হারমোনিয়াম, গিটার কিংবা
খঞ্জনার সুর-ব্যাঞ্জনাতেও গাইব না তোমাকে।
যেহেতু, জাতির হন্তারক তুমি
যেহেতু, আগুনে পোড়াও সোনার দেশ,
সাংবিধানিক অভিধায় ছিন্ন কর সবুজ পতাকা।
পিতা-পুত্রে, ভাইয়ে-ভাইয়ে, মানুষ-মানুষে আজ
দ্বিধান্বিত; হায়েনা-হিংস্রতায় ভাঙে মসজিদ
ভাঙে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা
ভাঙে স্কুল-ঘর, মাদ্রসা, অফিস-আদালত
ভাঙে রাজপাত, ভাঙে কালভার্ট, ব্রিজ
ভাঙে গরীবের কুঁড়েঘর। দেশময় আজ শুধু
জ্বালাও পোড়াও- স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের হত্যাকারী
এমন পাপিষ্ঠের নাম কী ক'রে মহান সংগীতে নেই?


প্রবঞ্চনা শিখিনি ব'লে হয়ত' কবিতা লিখি
কবি আমি কথার ফলায় তোমার ছিন্নতা আঁকি-
ধ্বংস হোক তোমার পাপের ভিটা,
ধ্বংস হোক তোমার অহংকার !!