মা,এখন আমি কেবল
তোমার জন্য কবিতা লিখবো।
জানো,সবার সামনে ফুটিয়ে তুলবো
তোমার বরেণ্য জীবনের যাবতীয় কথা।


বাংলাদেশের ছোট্ট গ্রামে
জন্ম যে তোমার,
দুটো ভাই আর দুটো বোনে
সাজানো সুন্দর শৈশব তোমার।


পাঁচটি ভাই যে ফেরেশতা হলো
ছোট্ট বেলাতেই,
কত করে কাদঁলে মা তুমি
যাচ্ছিলে যে মরেই।


ধীরে ধীরে বড় হলে,
স্কুলে গেলে মা পড়তে,
ছোট্ট হাতে ছোট্ট আঙু্ল
পিচ্চি তোমার বোনের।


তোমার বোনটি খুব দুষ্টু ছিল মা,
কষ্ট কি হত না,
পিচ্চি মেয়ে খেলত কেবল
পড়তে বসতো না।


হঠাৎ একদিন দিল কামড়,
রক্ত গেল বেরিয়ে
তা দেখে মা গেলে তুমি
জ্ঞান হারিয়ে।


আমার নানার প্রাণটি যায়,
সে কি দৌড়াদৌড়ি,
পিচ্চি মেয়ে নিয়ে আয় না
পানি জলদি।


হঠাৎ তুমি উঠলে জেগে মা,
কি আনন্দ নানার চোখে,
প্রাণ ফিরে পেলো তারা
হাসলো যে মনের সুখে।


তারপর অনেক সময় গেল,
বড় হলে তুমি,
রাজকন্যার আজ বিয়ে হবে
সে কথা সবাই জানি।


কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালে,
কত কি আয়োজন,
তোমায় যে মা,আমার বাবার
বড্ড প্রয়োজন।


অনেক দূরে শ্বশুরবাড়ি,
বরযাত্রা হলো যে বাসে,
ধীরে ধীরে দিন চলে যায়
হাসছো যে  বড্ড সুখে।


তারপর ছোট্ট এক বাচ্চা হলো
সে বাচ্চাটাই আমি,
আমি এক দুষ্টু ছেলে
মায়ের কথা নাহি শুনি।


আমার মা সবার সেরা
সব কিছুতেই এক্সপার্ট,
কি মধুর রান্না তার,
সব কাজেই সুপার্ব।


মায়ের কথা বলবো কতো,
কথা নাহি ক ফুরায়,
মা আমার নয়ন মণি,
বড় ভালোবাসি যে মায়।


মা আমার চোখের মণি,
রাখি চোখে  চোখে,
মাকে যারা হারায় তারা,
হারিয়ে ফেলেছে নিজেকে।