হে অন্ধকার, আমার পুরোনো বন্ধু;
আরেক দফা আড্ডা জমে উঠুক।
কারণ এক দৃষ্টে তাকিয়ে থেকে তুমি
তার বীজ রেখে গিয়েছিলে,
আমি তখন বোধহয় ঘুমাচ্ছিলাম
এবং দৃষ্টি যে আমার মস্তিষ্কের মধ্যে রোপণ করা হয়েছিল-
সে এখনও বিদ্যমান, এখনও
সবাক নীরবতা মধ্যে
অস্থির স্বপ্নের জগতে
আমি একা হাঁটি খোয়া আর বালি
বিছানো সরু রাস্তায়।
একটি রাস্তায় হলদে আলোর বাতি
জ্বলে ওঠে কয়েকবার সুতীব্র চেষ্টায়।
আমি শীতল এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকারে
লুকিয়ে যেতে অন্ধকারের বন্ধুত্ব পাই।
আমার চোখ একটি নিয়ন আলোর ফ্ল্যাশ দ্বারা ছুরিকাহত হলে,
সেই রাতে বিভক্ত চোখে জমজ দেখেছি
এবং সবাক নীরবতা স্পর্শ করে
নগ্ন আলোকে আমি দেখেছি সহস্র মানুষ,
হয়তো আরো -
ভাষা ছাড়া কথা বলা মানুষ,
কান ছাড়া শোনা মানুষ,
মস্তিষ্ক ছাড়া চিন্তাবিদ মানুষ!
আমি ছাড়া আর কেউ সাহস করে
সবাক নীরবতাকে বিরক্ত করল না।
সে আমায় ধমকে ওঠে-
'তুই জানিস না,
ক্যান্সারের মতো নীরবতার বৃদ্ধি হয়?
কথার শব্দ তরঙ্গ তার কাছে রেডিয়েশন।
নীরব অস্ত্র নিয়ে আমি
তোকে খুন করে ফেলতাম।'
আমার কথা, বৃষ্টিবিন্দুর মত আছড়ে পড়ে
আর প্রতিধ্বনিত হয় হলদে আলোতে।
নীরবতার দেয়াল ভেঙে যায়,
অবনত মানুষেরা প্রার্থনা করে
নিয়ন ঈশ্বরের কাছে।
নিদর্শন দিয়ে হলদে দূত পাঠালেন তিনি।
অতঃপর-
সবাক নীরবতার ধমকও থেমে গেল।
আমার নাস্তিক অন্ধকার বন্ধু
বিচলিত হয়ে পালিয়ে গেল।


-মিনহাজ উদ্দিন শিবলী
৩০/০৪/২০১৬