কবিতাটি লিখেছিলাম প্রায় মাস পাঁচেক আগে। দক্ষিণ কোরিয়া' য় দীর্ঘ দিন থাকার সুবাদে আমাদের দেশের সাথে এখানকার প্রকৃতির পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতই। আমার ভাবনারই প্রতিফলন কবিতাটি।


বি দ্রঃ ইয়াংসান নদী> গোয়াংজু, দক্ষিণ কোরিয়া'তে একটা বেশ লম্বা নদী (১০০ কিলোমিটার তো হবেই)। নদীর দু পাশে অনেক অনেক  সুবিশাল অট্টালিকা। প্রাণী বৈচিত্র্য প্রায় নেই বললেই চলে। 'ইয়াংসান নদী ' একটি নদী, কিন্তু পানি তেমন নাই। বাংলাদেশের খালের মত। অথচ সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলোঃ এরা এই খাল গুলো কে  যথাসাধ্য যত্ন করে। তাই এই দেশের এতো উন্নতি।


প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সঁপে দিয়ে ছুটেছি মাইলের পর মাইল
আমার একখানা লাল রঙা দ্বিচক্রযান এ চড়ে,
ইয়াংসান নদী নামক এক খালের দুই তীর ধরে, অতপর আমি হলাম কাহিল
ঘুরে ফিরে শুধু আমার মাতৃভূমির স্মৃতিই মনে পড়ে।


সাইকেল চালিয়েছিলাম প্রায় কয়েক ঘণ্টা
আরো কিছু দূর যেতে চাইছিল মনটা


যে দিকে দু চোখ যায়, যতদূর দৃষ্টির সীমায় মেলে,
অবুঝ মন আমাকে প্রশ্ন করে, হে তুমি, এ আমায় কোথায় নিয়ে এলে


শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একখানি আধো কোমর জলা স্রোতস্বীনি
বাংলাদেশের নদী নালার সাথে এত পার্থক্য, তা আগে তো বুঝিনি।


আশা ছিল শুনতে পাব হরেক রকম  শালিক দোয়েল পানকৌড়ি হাঁস আর বিচিত্র পাখ-পাখালির কিচির মিচির, না পেলাম না
চেয়ে দেখি জলাভূমির দুপাশেই সারি সারি বহুতল অট্টালিকার নিশ্চুপ কোলাহল, থাক আর বললাম না।


তবে দেখা মিলল কিছু সাদা বক আর এশিয়ান কবুতর
এরই মাঝে কেটে গেল আমার এক খণ্ড অবসর।