***সায়েরী-১৬***
তোমায় আমি বলব না আর, ‘ভালোবাসি সবচে বেশী’!
তোমার সঙ্গ চাই না আরো, চাই না তোমায় পাশাপাশি।
তিন দিনেতে যত্ত ব্যথা হৃদয় ভরে দিলে তুমি-
সেই ব্যথাতেই থাক না জাগ্‌রূক, ভাল্‌বাসা মোর দিবানিশি।


                 ***সায়েরী-১৭***
আমার ‘পরে বিশ্বাস তুমি নাই বা রাখলে এত্তোটুকুন;
প্রেমের জ্বরে নাই বা কাতর, হলে তুমি রুক্ষ্ণ-রুগন্‌!
রুন্‌ঝুনু ঐ নুপুর পায়ে, হেঁটো কেবল এক্‌লা ঘরে-
শুনতে আমি পাবো নিশ্চয়, কোন্‌ কালে সে মধুর বাজন!


                 ***সায়েরী-১৮***
‘ধিক্‌ধিনা ঐ বুকের কাঁপন’ না হয় একদিন যাবে থেমে!
একদিনা এক দিন ঐ তারার আলো রবে না ভূ-ধামে।
কৃষ্ণগহ্বর সক্‌লি মিলে চাইবে মোদের প্রেমের বিনাশ-
মহ্‌জাগতিক আলোয় চড়ে আসব মোরা নতুন ভূমে।


                 ***সায়েরী-১৯***
প্রেমের তিক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ক্যামনে তুমি প্রিয়া,
ওমন চোখে আমার দিকে চোখ বুলালে পুলক দিয়া!
ডাগর আঁখির জলে ভাস্‌য়ে তুচ্ছে আমার আত্মাভিমান-
আমায় তুমি কেমনে ভুলে, থাকো রাত্রি চোখ মুদিয়া।


                 ***সায়েরী-২০***
হয়কো না যে এমন বিশ্বাস, আমায় ছাড়া আরেক জনে
থুয়ে ছিলে কোমল রসে সিক্ত করে ঐ পরানে!
সবটুকু রস শুঁষে নিলো, তুমি হলে বিরান ভূমি!
আমার সিক্ত করার চিন্তা লুক্‌য়ে ছিলো কোন গহীনে!


****
স্বরবৃত্তে ৪-৪-৪-৪ এ পড়ুন!
ছন্দের খাতিরে দমের কম্‌বেশি করে পড়লে মাত্রা ঠিক ধরা যাবে!
****