বিরহের আদিম দরজায় হেঁটে যান সুপারিগাছ!
তালগাছে ঝুলে আছেন বসন্ত
নারকেল পাতায় মহাসাগরীয় ঢেউ
(আচ্ছা, কখনো ভেবে দেখেছেন কি প্রজ্ঞাগাছ, একই বৃন্তের
একটি ফল, কখনো ডাব কখনো নারকেল?)
খুব সম্ভবত কবিগাছ পাগল হতে যাচ্ছেন!
এই তাপদাহগাছেও তার প্রচণ্ড শীত পড়েছে
আগামী শীতগাছে হয়তো তিনি উষ্ণ হবেন, আশা রাখেন..
এই যা! কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম, পাগলে কতো কথায় বলে
ওসব ছাড়ুন।
খুব সম্ভবত বিরহ এক পাতাবাহার-
প্রেমবৃন্ত থেকে ঝরে যায় শেকড় হয়ে জন্মাবে বলে!


হিজলগাছে ফুটেছে রঙ
জারুল বনে মাটিচাপা গন্ধম
নারীগাছে ভেসে ভেসে(যেহেতু নারী এক স্রোতস্বিনী)
কলমিগাছ হয়ে যান চিরহরিৎ কলমগাছ


প্রবালগাছে বইছে জমানার ঢেউ
প্রবাহগাছে হাঁটছেন আরব্যরাত
তুরস্কীয় শরাবরমণীগাছে মাতাল জোছনা
(জোছনা রাত চুরি গেলে সেই দায় এথেন্সগাছের নয়...)
সুরগাছে উঠেছে মিশরীয় সঙ্গীত
(কারো কারো হৃদয়ে পিরামিড খোদাই থাকলে
সেই দায় থেকে মুক্ত ব্যাবিলন-উদ্যান)


আসমানও একটি গাছ; তারার ফুল ফুটে
জমিনও একটি গাছ; নাড়ী খোদাই পরতে পরতে
বাতাস তো সেই কবে গাছ হয়েছে পরাগ ছড়ায়ে
মমতাগাছে ফুটে শত ফুল-সৌরভ
স্নেহগাছে শেকড় জন্মায় উত্তরাধিকার-ফল


স্বার্থও একটি গাছ
সুখও একটি গাছে; দুঃখগাছের মতোন,
পুঁজিবাদও একটি গাছ
বিপ্লবও একটি গাছ
প্রাচুর্যও একটি মূল্যবান গাছ


আপনিও একটি গাছ
পাঠকও একটি গাছ
শব্দও একটি গাছ
কবিতাও একটি গাছ
হৃদয়ও একটি গাছ
প্রেমও একটি গাছ
বিরহও একটি গাছ
পাগলও একটি গাছ
নারী যদিও নদীর সাথেই মানায় তবু,
নারীও একটি গাছ
গাছও একটি গাছ
এই পৃথিবীও একটি গাছ
পৃথিবীগাছে যা কিছু সমস্ত কিছুই গাছ
(যদিও সব গাছ ঝুলে আছে আয়ুগাছে)
সব গাছ ফল ও ছায়া দিতে সক্ষম,
উপযুক্ত যত্ন কিংবা বিচ্ছেদ পেলে!