প্রভাতে উঠে দেখিনা সূর্যের আলো
আকাশে ঘন কালো মেঘ ছিল বলে
প্রভাতে দেখিনায় আমার মুখ্খানী
গৃহে আলো-আরশি নেই বলে
আমার চারিদিকে ঘন অন্ধকার
অশান্তির ক্ষিপ্র আগমন অবিরাম
চারিদিকে নিস্তব্ধ পরিবেশ
নিঃশব্দ নির্বিকার নির্জনতা
আমি তো সুখী ভাবিনা নিজেকে
ভাবতেও পারছিনা কোন খানে;
আমি সুখী হতে চাই সুখী হতে চাই
বিনিময়ে উৎসর্গে সমীপে যতোকিছু।


দুখের তিমিরে ডুবে আছি যবে
সুখের আসায় যাত্রা মোদের
পারব কি সুখী হতে এ ভুবনে
মরিচিকার সেই দূর নীহারিকার মত
জ্বালা যন্ত্রনা পেরিয়ে ততো
সুদূরের কোন নীল মহিমায়
ক্লান্ত সকাল কিংবা; দুপুর বেলায়
আসার আলো জ্বলছে মিটিমিটি
হয়তো বা সুখের সেই হাতছানি
চির শান্তির দেশ হতে দেশান্তরে
ছুটেছি আমি অগ্নিগোলকের মত
অর্জন করব শান্তির সেই সুবাতাস।


সহায় সম্বল হারা নি:স্ব আমি
নেই কোন সম্বল আমার
স্বপ্ন দেখি বারেবারে সুখী হওয়ার
চারিদিকে অসহ্য যন্ত্রনা আর্তনাদ
আমি কি কখনো সুখী হতে পারি
সেখানে নেই কোন আশার আলো
চারিদিকে মৃত্যুর ঝাঞ্জা রণতরী
বিক্ষুদ্ধ আক্রোশ সীমাহীন ক্রোধ
এখনি বুঝি হতে অবসান শান্তির
আছড়ে পড়বে দানবের মতো
শিউরে উঠছে ধ্বমনী কাঁপছে প্রাণ
সুখের আশায় নি:স্ব হতে এ জীবন।


আন্দামান হতে সেই আমাজান
যেখানে সুখের আশায় করছে দিনাপাত
সুনামী জলচ্ছাস আইলা সিডোর
তাইফুন হারিকেন কালবৈশাখী
নেই কোন দিনক্ষণ নেই কোন সীমা
ধূলিসাৎ হবে যবে থাকবেনা নিশানা
হয়ে যাবে চুরমার ধ্বংস
করে দিবে এক্ষনি নি:স্ব
ধাবিত হতে সাইক্লোন
আসবে নতুন অভিশাপ
করে দিতে সব নির্বিকার
এরি মাঝে আছে সুখের আঁধার।


আমি চির দু:খী তাই বলে হব না সুখী
কেন; বারেবারে থাকব দু:খী
আসবে সেই মহাক্ষণ আসবে
আবার উঠবে নতুন সূর্য্য
ছড়াবে নতুন আলো
চাদিকের দু:খের সাগরে
জ্বালবে সুখের আলো
ঘুচে যাবে সব অন্ধকার
হবে দু:খের অবসান সুপ্রভাতে
হাসি আনন্দে ভরে যাবে সবি
যতো কষ্ট ছিল, ছিল যতো দীর্ঘশ্বাস
চেয়ে দেখ সবি তার হয়েছে অবসান।


(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)