পূর্ব হতে পশ্চিম উত্তর হতে দক্ষিণ
ভূপৃষ্ট হতে পাতালপূরী
জমিন হতে সর্বশেষ মহাশূন্য
যেখানে রয়েছে জীবের সীমানা আধিপাত্য
সেখানেই রয়েছে সম্প্রীতি-সংঘাত।


যেখানে সংঘাত সেখানে সম্প্রীতি
বিপন্ন জগৎ হয়ে বিকৃতি
নৃশংসতায় পেয়েছে স্বীকৃতি
বিপন্ন জীব বিপন্ন সভ্যতা অন্তহীন
সেখানেই গড়ে উঠেছে সম্প্রীতি।


আফ্রিকা আমাজান গোহিন সুন্দরবন
সাহারা মেরু উত্তর-দক্ষিণ চূড়া হিমালয়
মিশে আছে যেখানে সাদা-কালো কুশ্রি-সুশ্রী
সেখানেই সাঙ্গহীন অন্তহীন প্রয়োজনে
সেখানেই প্রবাহমান সম্প্রীতি সংঘাত ।


জীবের বিকাশের প্রক্কালে জন্মে বিভীষিকায়
ধর্হ্য-সহ্য বিসর্জিত অপাদ মস্তকে
পিতা-পুত্র স্ত্রী-স্বামী প্রজন্মের পর প্রজন্ম
আত্মীয় অনাত্মীয় প্রতিবেশী পরিজন
স্বার্থ কিংবা স্বার্থহীন সেখানেই সম্প্রীতি সংঘাত।


পরিবার সমাজ দেশ থেকে মহাদেশ
পৃথিবীর দলিত জনপদ মহা পরাক্রমশালী
বাঁচার আসায় কার ক্ষমতার মোহে
দিবানিশি অবগাহন শক্তি-শান্তির অন্বেষনে
দ্যর্থহীন সেখানেই সংঘাত সম্প্রীতি।


তন্ত্রমন্ত্র প্রজাতন্ত্র গণতন্ত্র রাজতন্ত্র ,তন্ত্র-সমাজ
ধোঁয়া তুলে মানুষের অধিকার নিজ মতবাদ পুঁজি করে
নিজের বোঝা অন্যকে ভর করে নি:স্ব করে ঐতির্হ্য
চালিয়ে সংগ্রাম কিংবা যুক্তি কিংবা পৈশাচিক আক্রমণ
প্রতিষ্ঠায় কৃতিত্ব সম্প্রীতি সংঘাতের আক্রমণ।


আদি থেকে আজকের আদম-নরাধম
শান্তি থেকে পৈত্যলিকতায় গমন
বিচ্যুতি যে সভ্যতা মহা বাণী
করেছে দান যে আজকের মহিয়ান
করে আলোকিত বিশ্ব করেছে সংঘাতময়।


যে বাণী নিয়ে মহা কাব্য সৃষ্টির শুরু হতে
জ্ঞান বিলায়েছে ধ্যান বিলায়েছে
এঁকেছে চিত্র একছত্র মুর্তিমান
ধারাবাহিকতায় যাবুর তাওরারত ইঞ্জিল
সংঘাত সমাধানে তার মহাকাব্য আল-কোরান।


কর্ম-জীবে দয়া ধর্ম শিব সাধু রামধাম
ছড়ায়েছ বিদ্বেষ শুধু শিখ, শৈব খ্রষ্ট-মুসলমান
হানা-হানি জীবে যাবে যবে মুসলমানে আগমন
ধরণী হবে শান্তি যবে-জয় মুসলমান
দূর হবে সংঘাত আসবে সম্প্রীতি সেই তো ইসলাম।


চারিদিকে সংঘাত চাই সম্প্রীতি কন্ঠে বলিয়ান
পৃথিবীর শান্তি নয় কারো হাতে
দায়িত্ব জবে নিতে হবে কাধে শক্তিতে বলিয়ান
জাগ্রত হবে বিশ্ব সেরা শান্তি আগ্রহী মুসলমান
তখনি আসবে মহা শান্তি ধরনীর সমাধান।


(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)