॥ এক ॥
ক্ষুদ্র তৃণ দূর্বা হতে সৃষ্ট
আকাশ চুম্বী যে বাঁশ
অতীত ঐতিহ্য আসল কথা
পূর্ব জনমে পরিচয় তার ঘাস।


সু-উচ্চ পর্বত শৃঙ্গ হতে সৃষ্ট
যে খর স্রোতা নদী;
বহমান শান্ত হয়ে নদ
সমূদ্রে বিলিয়ে যায় নিরবধি।


যেখানে আজ উত্তপ্ত বালুকাময়
জীবন বিপন্ন মরুভুমি
সেখানে একসময় হয়তোবা ছিল
তৃণ ফসলে ভরপুর উর্বর জমি।


যেখানে আজ মনূষ্য বসবাস
পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতি বা আগ্নেয়গিরি
সেখানেই একসময় ছিল সমূদ্র
পাড়ি দিয়েছে সভ্যতার রণতরি।।


॥ দুই ॥
যে কারনে সৃষ্টি আমায়
রেখেছি কি তার মান
কথা ছিল পৃথিবী হবে
মহা স্বর্গের সমান।


জন্ম জন্মান্তরে মানবের তরে
উত্থান আমার মানবতার কল্যাণে
কল্যাণহীনা তাই যবে
পতন এই ভব সংসারে।


ন্যায় অন্যায়কে করে একাকার
মানব মানবে সৃষ্টি  হা-হাকার
কখনো গুপ্ত ঘাতক হয়ে
সভ্য সমাজ হয়েছে অন্ধকার।


সমাজ পতি সমাজে সম্মান
যদি থাকে সেথায় অবদান
সে অবদান যদি হয় কল্যাণহীনা
তবেই তো বেঁজে উঠবে পতনের বীণা।


॥ তিন ॥
শৃঙ্খলায় শৃঙ্খল সমাজের অবদান
শৃঙ্খল হীনা হবেনা সাধন
সভ্যতায় বিকশিত সর্বজন
শৃঙ্খল হীনা হবেই হবে পতন।


সেখানে স্নেহ আন্তরিকতা
সেখানে সম্মানের মর্মকথা
যে সমাজে শ্রদ্ধা সম্মানে ঘেরা
সেখানেই সৃষ্টি শৃজনশীলতা।


কুসংস্কারে ঘেরা যে সমাজ
জাহের করে সেখানে বিলাষ
সুযোগ সন্ধানী কুচক্রী জন
ডেকে আনে সভ্যতার পতন।


উত্থান যা হয়েছে সমাজে
পতন আসতে ক্ষণে ক্ষণে
এই নয়তো পতন
এই পতন এনে দিবে পরিবর্তন।


॥ চার ॥
অনাচার অত্যাচারে অতিষ্ট জনপদ
কে করবে এ অন্যায় রদ
ধর্ম গুরুরা অন্যায় বিলাষিতায়
করছে হরণ কৌশলে সব মাত।


যুগে যুগে কালের বিবর্তনে
শয়তানী শক্তি ঝাপটে ধরে
লুটে নিয়েছে সব সম্পদ
সভ্যতা মানবতা খেয়েছে গিলে।


সারা পৃথিবী যখন শাসনক হীন
জুলুম অন্যায় অত্যাচার অসীম
তখন আগমনে প্রয়োজন
আগমনে সুশাসক হলো আসীন।


শান্তির মহা বাণী নিয়ে ছড়ায়ে আলো
জাগ্রত করল এই পৃথিবী সেই মহা মানব
শান্তিতে এই পৃথিবী হোল অসীম
মানবতা আজ উচ্চ শিখরে আসীন।


॥ পাঁচ ॥
কত পুরুষ আজ প্রায়াত হয়েছে
কত সময় সন কাল
সবখানে তার বিছায়ে রেখেছে
উত্থান পতনের জাল।


কর্মগুরু ধর্মগুর পন্ডিত মহাশয়
কত শত নেতা করছে পরাজয়
জনমতের নামে নিজের মত
করছে জাহির তারা বারে বার।


ক্ষমতা হারিয়ে আজকে পন্ডিত
দেশের উপর নির্ভরশীল
দেশের তরে ক্ষতি সাধনে
যেন চিরকাল’ই অনাবিল।


কত শত শাসকের হয়েছে পতন
তার কোন হিসাব কি আর আছে
চিরকাল তার কাব্য লিখনী
উত্থানের অপেক্ষায় আছে।


(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)