পড়ন্ত বিকেলে, চঞ্চলা নদীর তীরে
আজলা ভরা অমৃত পানের নেশায়
হেঁটেছিলাম শব্দ পিপাসার ঘড়া নিয়ে
প্রথমবার আলতো করে ধরেছিলাম তার হাতদুটি,
সাক্ষী ছিল অসংখ্য পাইন-দেবদার আর শুভ্র হিমালয়।


গাছের পাতার ফাঁকে ঝিলমিল রোদ্দুর
মাতাল সময়, দুয়ার খোলা মুগ্ধ রাত
চোখে ছিল শুধু বসন্তের নিষিদ্ধ হাতছানি
ইচ্ছেঘুড়ি অজান্তেই ঠিকানা পেয়েছিল দূর আকাশে।


অচেনা দুটি মনের মিলনের অসম্পূর্ণ গাথা
যার একটি যুৎসই নাম খুঁজেছি যুগ-যুগান্তর ধরে
সেদিন দিগন্তের মেঘটুকু স্পর্শ করার স্পর্ধা জেগেছিল
কথা রাখেনি নক্ষত্র রাত, বসন্তের প্রথম অঙ্গীকার।


দরজায় খিল এঁটে কেটেছে বহু রজনী
দূর পাহাড়ে প্রণয়ের রঙ ক্রমশঃ ফিকে লাগে
অহরহ বাতাসে শুনি নিজেরই আর্তনাদ
বসন্তের চেনা ঘ্রাণও ব্যঙ্গ করে নিজস্ব ঢঙে।


হঠাৎ একদিন শেষ রাতে বেজে ওঠে স্বপ্নের সেতার
স্বপ্নালু চোখ দু’টি ক্ষণিকের জন্য থমকে যায়
সামনে ছিল অবিন্যস্ত এলোমেলো চুল মেলে
সচকিত, লজ্জিত, কুণ্ঠিত চেনা সেই অবয়ব!!
বেহিসাবী সময়টা কেমন যেন থমকে যায়।