একফালি চাঁদের আলোক
তালুবন্দি করবে বলে পণ ধরেছিল
আশ্চর্য হলাম পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে
সকলেই চুপচাপ, মুখে খিল এঁটে নিশ্চিত বসে
যেন মৌনব্রত ধারণ করেছে।


নিভে গেছে শেষ প্রদীপের আলো
জোনাকির উৎপাতে টকটকে লাল ফর্সা দুটি চোখ
শীতজ্বরে কাবু দামাল ছেলেটি
ভুলে গেছে উদ্ভোটে সব অযথা প্রশ্ন করতে।


বাঁধন হারা নদীটার আর্তনাদ
চিরে ফেলে রাতের নিস্তব্ধতা
দামাল ছেলেটি আবার তরতাজা
কি জানি কি ভাবে আবার ব্যতিব্যস্ত করে।


এক এক করে বন্ধ হয় সব সদর দরজা
কাঁথা মুড়ে শীত ঘুমের আলাদা আমেজ
অন্ধকারের মধ্যে নির্দ্বিধায় ঘটে যায় বিপত্তি
কালো বেড়ালটির মায়াকান্না, বিদঘুটে লাগে।


গভীর ঘুমে, গরম শ্বাসের নিরন্তর বোঝাপড়া
অবসন্ন শরীর,কিছু স্বপ্ন অপেক্ষায় ছিল,
দামাল ছেলেটি সাড়াশব্দহীন
ঘুমিয়ে পড়ল নাকি?


বিজয়ী কর্কট, পরাজিত দামাল
অচিরেই খুলে যায় দক্ষিণমুখি জানালাটি
স্বর্গের রথ হয়তো আসবে শিঘ্রী
উপায়হীন যমরাজ,কর্তব্য যে বড়ই বালাই।।


কাঁপছে দাঁত, কম করা যায় কি?
দূরবীন চোখে স্বর্গযাত্রা দেখার লোভ
ছায়াশরীর ক্রমশই বিলীন হচ্ছে নভলোকে।।