ধারার বিপরীতে চলার শখ ছিল।।
পা পিছলে পড়ার সুযোগ কজনেরই বা সাধ্যে জোটে?
চলার পথে বাধা! মন্দ কি? আসুক না,
অন্ততঃ পাগলামির যথাযথ সমাপ্তির আশা জাগে।
আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে তারারা
পৃথিবীর বুকে ফিরে আসে একটু জিরোবে বলে,
শতাব্দী ধরে পরিশান্ত ঝিকমিক করে,
ঘটনাক্রমে অস্বাভাবিকতা কিছুই ছিল না
তবুও ভয়ার্ত মন ছুটে যায় নির্জনে,
তেঁতুল বনে ভিমরুলের মোক্ষম কামড়ে
বিষের তীব্র প্রকোপ অনুভব করে
তবুও বেঁচে আছে বহাল তবিয়তে
কিন্তু ভিমরুল, বেঁচে আছে কিনা সন্দেহ হয়!
হতাশ পানকৌড়ির সব ইচ্ছে মরে গেছে
খাল বিলের প্রার্থক্য খুঁজতে খুঁজতে,
অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে জুটে শুধু নিরাশা।
বর্ষার অবাধ্য জল, আল উপচে
অনায়াসেই বেড়িয়ে আসে শিকল ভেঙে
কিন্তু পাখিটা আজও শিখলো না
বেড়ির কালশিটে দাগে মলমের প্রলেপ উপভোগ করে
আর একঘেঁয়ে লাগে না হয়তো!!


মধ্যযুগে শিল্পীর হাত কাটার বদলে
মগজে একটু ভেজাল বুদ্ধি মেলালে মন্দ হত কি?
আফসোস, ধারার বিপরীতে চলার শখ ছিল
কিন্তু আজও অপূর্ণ থেকে গেল।।