চাঁদের গা বেয়ে ঝরে পড়া
ঝিরঝিরে জোছনায় ভেজা মায়াবী রাত  
দূরে ওই ময়ূরকণ্ঠী নীল-আকাশ  
কিছুদূরে টিমটিম করে খেলায় মগ্ন তারাদের দল
চাঁদ আজি সেজেছে নববধূর ষোলোকলার অলঙ্কারে  
তার রূপের ঝিলিকে বাকরুদ্ধ হয়েছে সৃষ্টি সমগ্র।  


ঝিঝি সঙ্গীতের সাময়িক বিরাম শেষে
বিস্মিত, অপলক ঝিঝি পোকার দল,
এ-ঝোপ থেকে ও ঝোপের মাঝে
জোছনা-স্নানের লুকোচুরির খেলায় মগ্ন জোনাকির দল,  
ওই দুরের অশ্বত্থ গাছের মগডালে
এক রাতজাগা পাখী সদ্য জুড়েছে
ভালবাসার বিচিত্র গান।


পালকের বিছানায় মলমলের সুসজ্জিত চাদর
চোখের মাঝে অল্প অল্প ঘুমের আবেশ,
মগন নয়ন চাঁদের রূপের ঝলকানি উপভোগে  
শিওরে জিয়ন কাঠি হাতে সুন্দরী পরীর কোমল স্পর্শে  
যেন এখুনি পলকে ঝপকে প্রবেশ করব নিদ্রার দেশে
তবুও কেন যে ঘুম পাড়ি দিয়েছে অজানা দেশে।


এহেন মায়াবী রাতে
হৃদয়ের দরজাতে কেন এত বজ্র আঁটুনি
ওগো দ্বাররক্ষী দোহাই তোমায়  
খুলে দাও সে দ্বার চিরতরে  
দুয়ারের ওপারেতে, প্রেয়সী যে আছে অপেক্ষাতে
সেও কি অপরাধী?
তবে বন্ধ কর কেন তারে লোহার কপাটে  
জানো না ?  নাকি ভুলে গেছো ?
সে যে চন্দ্রমুখী,  
তার চাঁদনিতে,
তার ঝিরঝিরে ঝরা জোছনার আলোকে  
সিক্ত হতে চাই বারেবারে, যুগ যুগান্তর ধরে।

এহেন মায়াবী জ্যোৎস্না স্নাত রাতে
কেন দাও বাধা তার মিলনে, ব্যথিত আমি
জমিয়ে রেখেছি কিছু কথা,বাকী আছে অনেক বলা
জ্যোৎস্নাকে সাক্ষী রেখে তার হাতে হাত রেখে
দেব উপহার এক নগ্ন লাল গোলাপ    
আর নীরবতার মাঝে মনের কথাগুলি বলব
শুধুই ফিসফিসে তার কানে কানে।