অনুগত মন্ত্রী, শেয়াল মশায়ের সু-তত্বাবধানে
ঘোষণাটি হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।
আগামীকাল জঙ্গল-মহলে পিকনিকের মহা আয়োজন
উপস্থিতির সাদর আহ্বান সমগ্র জঙ্গলবাসীকে।    
রাজামশায়ের এক ছোট্ট নিবেদন,
বিশেষভাবে প্রচার করা হয়েছে ফলাও করে
"পাতে চাই শুধু, নিজ নিজ হেঁসেলের সুস্বাদু আমিষ পদ"।  


আরও এক বিশেষ সূচনা ছিল সে ঘোষণাটিতে
বিজোড় শালিক আর পিঁপড়েদের প্রবেশ নিষেধ ।  
বিজোড় শালিক দেখলেই নাকি রাজামশায়ের দিনটি খারাপ যায় ।
গাছের ডালে বসে এক জোড়া শালিক মিটি মিটি হাসে
স্বস্তিতে শালিকের দল, শুধু জোড় বিজোড়ের সংখ্যাটি পথের কাঁটা
অপমানিত পিঁপড়েদের দল।      


কাজল লাগানো ভুলে সুন্দরী হরিণ হেঁসে লুটোপুটি
সুস্বাদু হরিণে মাংসের পদ নিশ্চয় থাকবে উপরের মেনুতে
ভালোই ফন্দী এঁটেছেন রাজামশাই।


ফিসফাস আলোচনা সাম্রাজ্যের কোণে কোণে
মহারাজের মাথায় ছিট ধরল নাকি নতুন করে?
সাহসের অভাবে প্রশ্নগুলো অনুত্তরই থেকে গেল।


টিটকিরি, গঞ্জনা আর অপমানের সহ্যসীমা অতিক্রান্ত  
প্রতিবাদে পিঁপড়ের দল ধর্নায় বসে প্রাসাদের অদূরে  
ক্রোধে অগ্নিশর্মা রাজন,
ভীষণ গর্জনে তোলপাড় সাম্রাজ্য সমগ্র,
ভয়ভীত প্রজারা, ভয়ভীত আকাশ বাতাস।


চাটুকার শেয়াল পণ্ডিতের বিনম্র অনুনয়-বিনয়
আদেশ করুন মহারাজ
রাগে গরগর রাজার তর্জনী তুলে আদেশ
“পিষে ফেল নমক হারামদের”।
ঠিক তখনই এক প্রতিবাদী পিঁপড়ে মোক্ষম কামড় দিল রাজার পায়ে
আহহহহহ…..................
আর্তনাদ গুঁজিত হল দূর থেকে বহু দূর পর্যন্ত
আর নিমিষে সবংশে পিষে গেল পিঁপড়েদের দল
তাদের আর্তনাদ শুনল না কেউ
রাজার আহহহ… টাই শুনল সবাই!।


আগামীকালের পিকনিকের ভবিষ্যৎ কি বিশ বাও জলে?
"না", রাজামশায়ের কঠোর আদেশ
পিকনিকের মহা আয়োজন হবে যথা-সময়ে।