জানলার পাশে চাঁদের রুপোলি আলোয় 
তার মুখটা অপূর্ব দেখাচ্ছিল
অধির আগ্রহে ব্যাকূল হয়ে চেয়েছিলাম অপলকে
অজানা ঢেউ আলাপ করতে চায়, কাছে এসে
বুক চিড়ে এক দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে,
যদিও সে এখন পর, মাঝে এক অনন্ত দূরী
তবুও শৈশবের অধরা প্রেম পুনরায় নিকটে।
কল্পনায় জাপটে শতশত চুম্বনে তৃপ্ত মন
আবেগের বসে এমনটি কাজ অনস্বীকার্য নয়
উপলব্ধিটুকু শুধু কি আমার একাকী?
নিষিদ্ধ চুম্বনের পরিণতি অজানা নয়
নিশ্চয় এর নির্দিষ্ট প্রায়ছিত্ত বিধানে আছে
হৃদয় নামক বস্তুটি সদা ধকধক করে বলেই
এমন সুর বাজে মনের সেতারে।
ভালবাসার মানুষটিকে চুম্বন কি নিষিদ্ধ সত্য?
বিশ্বাস করি না, হয়তো বা সত্য।
বিছানা আঁকড়ে অসহ্য যন্ত্রণায় মন
ছটফট করে রাতভর
দুরুদুরু বুক আর শিরায় শিরায় শিহরন
যন্ত্রণাই কোঁকড়ানো মুখ, মনের আয়নাতে দেখেই বীভৎস লাগে
ফিরে এল আবার সেই বিনিদ্র রাতের মায়া
যেমনটি ঘটেছিল ঠিক সেই সদ্য কৈশোরে,
নিদারুণ যন্ত্রণার রাত,
ছটপটে বিনিদ্র রজনী,
কয়েকটা পাখির স্পষ্ট ডাক
সাথে ডানা ঝাপটানোর শব্দ ছাড়া বাকিটা নিস্তব্দ।


অভিশপ্ত রজনীর শেষে
নতুন দিবসের শুভরাম্ভ নিশ্চিত
জানালার কাঁচ বেয়ে অল্প অল্প উজালা উঁকি দেয়
দূরে মন্দিরের ঘণ্টার মৃদু শব্দ কানে বাজে
আর ক্ষীণ হরি ধ্বনি
শুনেছি হরি ধ্বনি শুনলে যাত্রা শুভ হয়
কিছু পরেই দিবাকর হেসে উঠবে পূবে।