ফ্রিজের ঠাণ্ডা জল আর খাওয়া হয় নি
মোবাইলের রিংটোনটি বেজে উঠেছিল
রাশভারী গলায় ভুল হত্যা সংবাদটি শুনিয়েছিল ফোনের ওপ্রান্ত থেকে ।
উপদেশ ছিল অন্তত কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দিতে।
হয়তো আগামীকাল সকালের দৈনিক গুলোয় ফলাও করে প্রকাশিত হবে।
শীর্ষকখানি হতে পারে "শহরে আরও এক হত্যালীলা" বা "গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন্দলের বলি"।


ঘুপচি ঘরে দমবন্ধ হয়ে আসে, অসহ্য
বিচলিত মন, হাত দুটি থরথর কাঁপে
দমবন্ধ, দলা পাকিয়ে অল্প কিছু রাতের
বদহজম খাদ্য বেরিয়ে আসে। দুর্গন্ধে প্রাণ অতিষ্ঠ।
অযত্নে অবহেলায় মাটিতে পড়ে টাকার বান্ডিল।


সুপারি কিলার,  নামখানি বেশ রাশভারী।
এক যুগ যাবৎ অর্থের বিনিময়ে হত্যায় হাত যশ ছিল তার।
বেনিয়ম হয়নি কোনোদিনই,
উশুল ছিল নিরপরাধ,গরীব, ইমানদারের রক্তে হাত রঞ্জিত না করার
এই প্রথমবার কেমন যেন কেঁপে উঠেছিল হাতখানি
প্রথম হত্যাতেও যেমনটি হয়নি
এমন মস্ত ভুল হল কেমনে?
ট্র্যাডিশনই বা ভাঙলো কেমনে?
পরিকল্পনার অভাব, না কি গোড়াতেই কি গলদ ছিল?
হত্যালীলার শেষে বিধ্বস্ত শরীর,অনুশোচনায় বিদগ্ধ মন।
এমনটি তো কাম্য ছিল না।