এই তো সেদিনও আড়চোখে ফিরে দেখেছিলে
শম্বুকগতিতে চলা ট্রামের সেই চিরপরিচিত পেছনের সিটে বসে  
মোহিনী হাসির ঝলকে হারিয়ে, অল্পের জন্যে  
ফিরে পেয়ে ছিলাম প্রাণ এক আকস্মিক দুর্ঘটনার হাত থেকে।  


নির্জন রাস্তার ধারে বসে বাদামের ঠোঙা হাতে অযথা বকবকানি
কানের মাঝে ময়ূর পালকের আকস্মিক সুড়সুড়িতে অতিষ্ঠ করতে প্রাণ  
রাত জেগে টিমটিমে আলোয় লেখা দীর্ঘাকার মিষ্টি প্রেমের চিঠিগুলো  
আর মনে আছে আমার ঠিকানা লেখা সাদা খামগুলো?


শুনেছি আজ নাকি নাম উচ্চারণেও ঘেন্না লাগে  
হৃদয়ের সদর দরজায় খোদিত নামখানি কি মুছে ফেলেছ সমূলে?  
চোখের মাঝে শুধুই কালো আঁধার
হাহাকার হৃদয়ের বড়ই জানতে ইচ্ছে করে, দোষটি কি?


অভিশপ্ত নিকস কালো রাতের শেষে ঝলমলে প্রভাত আসন্ন  
তবুও হৃদয়ের সুপ্ত আগুন অল্প ধোঁয়ায় ধিকধিক জ্বলে  
সে ধোঁয়ায় ত্রস্ত, অবিরাম চোখদুটি কচলানোর ফাঁকে
কে যেন আলতো ছুঁয়ে যায় তার নরম আঙুলের পরশে।

নিশ্চয় একদিন চিরতরে বন্ধ হবে চোখের পাতা দুটি
বন্ধ চোখে ভিড়ের মাঝে তোমায় দেখে খুশী হব
নিভৃতে অশ্রুর বন্যা গাল বেয়ে নেমে আসবে গলগল করে
সে দিন কি পাবে কি আমায় শেষ অশ্রুটুকুও বর্ষণে।