পড়ন্ত রোদের শেষ বিকেলে  
ফুরফুরে হিমেল বাতাস, পাইন গাছগুলো চিরে  
খেলা করে বেড়াচ্ছিল এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে।  


এগিয়ে চলেছি সরু পথে অতি সাবধানে,
পাশে এক পাহাড়ি নদীর কুলকুল ধারার  
প্রাণবন্ত সুমধুর সঙ্গীত বেজেই চলেছে  
মেঘগুলো নেচে বেড়াচ্ছিল পাহাড়ের কোলে-কোলে  
কিছু পরে বৃষ্টি রূপে সিক্ত করল মাটি  
কাঁদা মাখা পিচ্ছিল দুর্গম পথ ধরে,
হাতে জুতো, প্যান্ট হাঁটুর উপর তুলে,
গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্ঠায় এগিয়ে চলি।  


এক পাহাড়ি মেয়ে, খিলখিল করে হেসে
নিমিষে অদৃশ্য হয়ে গেল এক গলির মাঝে  
নজর কাড়া সেই মোহিনী মেয়ের
ঠোঁটের কোণায় ভুবন ভোলানো হাসি
এখনও তরতাজা, চির-সবুজ চোখের সামনে,  
চেয়ে আছি পলকহীন সেই গলির দিকে
হয়তো  সে দেখা দেবে, গলির কোনও এক প্রান্তে
ভরিয়ে দেবে প্রাণ আবার সেই ভুবন ভোলানো হাসিতে।  


সেদিনও দাঁড়িয়েছিল রোদ্দুরে, রঙিন বাড়িটির পাশে
ডান নাকে পরেছিল একটি ছোট্ট নাকছাবি
গায়ে ছিল এক অদ্ভুত রঙের সবুজ জামা
একজোড়া রঙিন জুতো পড়েছিল ফর্সা পায়ে
এক আলাদা মাধুরাজ্য তৈরি করেছিল হৃদয়ে  
আমার দিকে তাকানো চোখ দুটির মাঝে
দেখেছিলাম যখন আমি  নিজেকে  
হৃদয় হারিয়েছিলাম তার দিকে চেয়ে,
সে যে, লাস্যময়ী, লাবণ্যময় হরিণী
হৃদয় ছোঁয়া এক চঞ্চলা পাহাড়ি নারী।