সময়ের প্রতিক্ষণে লুকিয়ে থাকা আর্তনাদগুলো
রক্তলোভী হায়েনার মত ধাওয়া করে চলে
বাঁচার তাগাদায় ছদ্মবেশের গোপনে আশ্রয় খুঁজি        
সে বেশেও কোনও না কোনও আর্তনাদ চিনে ফেলে।  


মিছে ব্যস্ততায়, ভবঘুরের মত ঘুরি ফিরি  
পেছনে ফেলে আসা আর্তনাদগুলো ধাওয়া করেই চলে
কর্কশ বেসুরে সুরগুলো পঙ্গপালের মত ক্রমশ এগিয়ে আসে  
এক উন্মাদ ভিড়, অক্টোপাসের কঠিন বাঁধনে আবদ্ধ করে।


বাঁধন ছিঁড়ে, হাঁসফাঁস চিত্তে, ভাঙা কবরস্থানে আশ্রয় খুঁজি  
সেখানেও এক আর্তনাদ কবরের মাঝ থেকে তাড়া করে
উন্মাদ বাতাসের সাথে সাথে ভেসে চলি নিরাপদের খোঁজে    
আর্তনাদ, বারবার আনুনয় বিনয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকে।  

প্রতিনিয়ত অদৃশ্যের সাথে যুদ্ধে, শক্তিহীন বাহুদ্বয়
পরাজিত সৈনিক আমি, যুদ্ধ প্রান্তরে বিধ্বস্ত সেনানী  
স্পষ্ট বুঝি আর্তনাদের কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ শরীর  
ক্রমাগত আর্তনাদের গুঞ্জনে মস্তিষ্ক আজ দিশাহীন।  

কল্পনার দৃষ্টিতে দেখি, ক্লান্ত দেহখানি কুপিত হচ্ছে খঞ্জরে  
শুকনো মাটিতে ভেজা রক্ত দেখে, নিথর দেহের পিশাচ অট্টহাসি
আশাভঙ্গ আর্তনাদগুলো পিছুটানে ফিরে যায় নতুন গন্তব্যের সন্ধানে      
আর মাটি আমার কবর তৈরিতে মগ্ন থাকে আনমনে।