শ্রাবনের এক বর্ষণ-মুখর বিকেলে
টিপ টিপ সুরে, বৃষ্টি ধরেছিল গান
মগন ছিলাম কাগজের জাহাজ গড়নে।


কিছু পূর্বে বাড়িতে এক অতিথির আগমণ
শঙ্কিত ছিলাম, নির্ঘাত কাজে পড়বে ব্যাঘাত
মিষ্টি হেসে আদুরে গলায় মায়ের অনুমেয় নিবেদন
"শিঘ্রী, এক প্যাকেট দুধ নিয়ে এসো বাবাধন"।


ঝপ করে পাঁচের কয়েন নিয়ে দিলাম দৌড়
বাহিরের চারিদিক শুধু জলে থৈ-থৈ
আর উপচে পড়া নালি-নর্দমা বেয়ে
এগিয়ে চলে ধারা অজানা গন্তব্যে।


সগর্বে ভাসিয়ে দিলাম জাহাজখানি
উপরে বসিয়ে পাঁচের কয়েন
আগে আগে জাহাজ পেছন পেছনে গর্বিত রূপকার
খুশি খুশি দম্ভের সাথে।


হঠাত তীব্র জলের তোড়ে
ডুবে গেল কয়েন সহ সাধের জাহাজ
তন্ন তন্ন খুঁজেও পেলাম না কোনও হদিশ
ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে অনেকই সময়।


বিনা চা পানেই অতিথিদেব নিয়েছে বিদেয়
বাসায় ফিরেই শুরু একপ্রস্থ উত্তম-মধ্যম
রাতের খাবারেও পড়ল না ডাক।


চোখের কোণে জমে বিন্দু বিন্দু জল
শৈশবের দিনগুলো এখন স্মৃতি মাত্র
নিরুদ্দেশ আজ সে সব মজার দিন
আর নেই সেই সব কাগজের চল
সবাই শশব্যস্ত এখন, শুধু মোবাইলে।