নিঃশব্দ বাতাস
আকাশের কোলাজে ডমরুর বাদন
ঘন নীল রঙের শামিয়ানা আকাশে
সযত্ন লালিত ভাঙা হাসি
বেশ মজা লাগে।


বিয়ের ডেকোরেশন যেন পানসে, প্রকৃতির আগে
ভবিষ্যৎ শিল্প-পরী কি নিকটে?
ছুঁয়ে দেখা যায় কিনা?
কিন্তু চেষ্টা করিনি সাহসের অভাবে।


সারাটাদিন গাধার মতো খেটে গতরে ব্যথার অনুভব
খিঁচির মিচির , গলাফাটা রেকর্ড শুরুর দেরি,
অপেক্ষা শুধু সদর দরজার ডিংডং ধ্বনি।
সারাদিনের মৌনব্রতের শেষে
এই একটু আর কি!!!


সকালের নাস্তাপর্ব সুখকর ছিল না
মনে মনে, একটু বেশিই ভয় করছে
আবার আস্ত একটা চুনো মাছ কিনেছি আজ,
কপালে কি আছে দেখাই যাক?


সেই ছোট্ট বেলা থেকেই একটি স্বপ্ন ছিল
প্লেনের পাইলট হয়ে আলবাট্রস পাখির মতো
আটলান্টিক পার করবো অনায়াসে,
কিন্তু অমোঘ আকর্ষণ মাখা স্বপ্নগুলো অধরা।
বদলে হয়েছি রিমোট কন্ট্রোল চালিত অটো-পাইলট।
তারও আছে এক নাম --বর!!!


ওগো, আমার কি সর্বনাশ হয়ে গেল গো!!
গা সওয়া মিছেমিছি আর্তনাদ
পাড়ার জনার মায়ের নিত্য দিনের সখী।
পাশ কেটে নিশ্চুপে এগিয়ে চলি গন্তব্যে
অতি চালকের কেজো পৃথিবীতে বোকা সাজতে
বড্ড ভালো লাগে।
কাঁদুনির স্বর ক্ষীণ, সামনের বাঁকের অন্তরাল
কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পড়বে ঘর।


বুকটা বেশ জোরেই ধকধক করছে!!