সপ্তাহের শেষে একরাশ ক্লান্তি
ক্লান্ত শরীর, ক্লান্ত মন, তবুও নিরুপায়,
বাঁধাধরা নিরস বিস্বাদ জীবন
যেন উনুনের উপর চাপানো খালি বর্তন
উপায়হীন, অসহায়।


ল্যাম্প পোস্টের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিল উমা
সন্ধ্যার মায়াবী আলো তার বেশ আকর্ষণীয় লাগে
সমবয়সীদের স্কুল যাত্রাও বেশ লাগে
না:, স্কুলের মুখ কোনও দিনই দেখা হয়নি।


ছোট্ট উমা, চতুর্দশী উমা
কখন যে সে চতুর্দশী হল ঢেরও পেল না
অসমাপ্ত রয়ে গেছে জীবনের অনেক সাধ-আহ্লাদ
তবুও মুখে অমিল হাসি,
পড়নে সেই পুরনো মলিন ফ্রক
এই তো গতকালই সে মাকে বলেছিল
"আমায় একটা নতুন ফ্রক কিনে দাও না
দুষ্ট ছেলেরা ফুটো ফ্রকের ভেতর উঁকি দেয় "
দুঃখী মা শুধু হেসেছিল।


সস্তা পাউডার আর একটু সাজগোজ,
এই আর কি!!
আজ রাতের সামান্য উপার্জনই
অসুস্থ মায়ের আগামীকালের বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ
অনুপায়, খিদের জ্বালা সত্যি সত্যিই ভয়ানক।
হঠাৎ পাঁচ সাতটি নরপশু ঘিরে ফেললো তারে
আজ আবার বিজয় দশমী
ঠিক মোক্ষম সময়,
ভাসানের শোরগোলে কিছুই শোনা যায় না
ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে এলো কোলাহল
নিস্তব্ধ হল মায়াবী রাত।
গঙ্গার জলে নিশ্চুপে ভেসে যাচ্ছে
রং মাটি-হীন খড়ের কাঠামো আর
উমার ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত শরীর।