বেকারত্বের তীব্র গ্লানির গ্রাসে ক্লান্ত জীবন  
বাসার চৌহদ্দির চারিদিকে স্থায়ী সীমান্তের কাঁটাতার    
নিরুপায় পাড়ার প্রান্তের চায়ের ঠেকেই পাকাপাকি বাস
তবুও পথ চলিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিরন্তর গঞ্জনায় অতিষ্ঠ প্রাণ।


এই যে বাবা! আর কতদিন চলবে এ বেলেল্লাপনা  
কিছু কাজ কর্মে মন দাও, বাবা কি থাকবে চিরকাল?
মায়ের বুক্ফাটা কষ্টে কি গলে না প্রাণ?
কেন এতো পাষাণ তোমার প্রাণ, ইত্যাদি, ইত্যাদির উপন্যাস।    


কে বলে চিরদিনই ছিলাম অলস-কর্মহীন বেকার
এই তো সেদিনও ছিলাম ভালবাসার প্রাচুর্যে ধনবান
বুঁদ ছিলাম ভালবাসার ঋণ দেয়ানেয়ার মস্ত কারোবারে
বিলিয়েছি অকাতরে কতই না ভালোবাসার অমুল্য সম্পদ।

একাকী, কত পথ অতিক্রান্ত করেছি নগ্নপদে  
মসৃণ চলেছি ভালোবাসার মরুভূমির তপ্ত বালির উপর  
যেথা কদম কদমে পায়ের নরম ত্বকে জ্বালার অনুভব করে
তবুও এগিয়েছি হাস্যমুখে অজানা নেশার টানে।

অদৃশ্যের পরিহাস, যথাসময়ে ভালোবাসার মূলধন পরিশোধের অভাবে
নিঃস্ব ও সর্বশান্ত আজ, তবুও স্মিত হাস্যে
বুকের মাঝের সুপ্ত ব্যাথা ভুলানোর প্রচেষ্টায় মগ্ন আছি অবিরাম
দেখেছে কি তাঁরা বুকের মাঝে জমা সুবিস্তৃত সুবিশাল কষ্টের পাহাড়?