মানস্ মঙ্গল
মাইন উদ্দিন


সংক্ষিপ্ত এই জীবন পরিসরে
নিজেরে রাজা ভেবে ভুল করোনা ওরে
জানিনা কখন তোমায় মৃত্যুর শ্বাস ধরে
এই জীবনে কীর্তি সাধনের দায়িত্ব তোমার উপরে


আমি ব্রহ্মাণ্ডচারী
তোমার মতোই মৃত্যু পথের এক পথচারী
ভাবনায় বসি,আমি কী মানুষী?
মানস কয় যে মোরে মানুষী
জানিনা,এইটুকু যথেষ্ট কিনা
তবে মৃত্যুর পরেই মিলবে জীবনের আসপ ঠিকানা
আমি মহান এক স্রষ্টার বন্দা ওরে
জানিনা মানো নাকি তারে
আমি এক ধর্মের অনুসারী
তাই সর্বদা নিজ চেতনারে দি সুড়সুড়ি


সকল মানুষীর মানস
হারাইলে ইহা জীবনে নামে ধস
মানস যখন হয়ে যায় মানুষীর বস
পুরো ব্রহ্মাণ্ডে করো বিচরণ,কিসের আপস?
কিন্তু মানুষী যে আজ মানস রোগী
তাই সকল দুঃখ-দুর্দশা আজ তার ভাগী
কাল ফুরিয়ে এসেছে তাই আমি অস্থির
চিন্তায় আমি অস্থির,কী হবে এই অভাগা,অভাগীর?
মানস আজ এড়িয়ে চলে
মানুষীর উপস্থিতি ছলেবলে
মানুসে আজ মরচে ধরেছে
মানুষীর পাপের পরশে


মানস মানুষীর মিলিত দেহে
সবি সম্ভব ওরে সবি সম্ভব যতক্ষণ না দেহ ইবলিশের নজরে
বিশুদ্ধ শক্তির এই নূরানী বল
ইবলিশেরেও করিতে পারে কতল
মানস মাখা মানুষীর যখন উদয় হয়
ইবলিশ তার দোসরদের নিয়ে যুদ্ধে যেতে হয়
মানসের বলে যখন মানুষী জয়ী
অগ্নিজাত ইবলিশ তখন ক্ষয়ী
মানসের বলে সবি সম্ভব
এ বাক্যে খুঁত খুঁজা একেবারে অসম্ভব


মানস ইবলিশের যুদ্ধ
নিঃসন্দেহে এক মহাযুদ্ধ
এখানে শহীদদের বদ্যভূমি নেই
এরা বেঁচে রয় ইবলিশের আশ্র‍মেই
এরা সেখানেই গজিয়ে ওঠে
আকর্ষীর মতো খুটেখুটে
সমাজে সে মৃত
কারণ কেবল মানস মাখা মানুষই এখানে অমৃত
আর যুদ্ধ শেষে তুমি যদি হও বীর
উপাধী তোমার,সূর্যমুখী চরিত্রের এক আবীর
মানস গড়া মানুষী
ধন্য হোক জীবন তোমার,সর্বদা থেকো হাসিখুশি
আমার এ কখানি পঙক্তি
তোমার জীবনে যদি আনে উন্নতি
ব্রহ্মাণ্ডচারীর দর্শনেরে বহিবার শক্তি
তোমার মানস যেন পায়,ইহাই আমার শেষ উক্তি