কত কবি কত কথা যায় লিখে ছন্দে,
আমার মনের ভাষা ছন্দ খোঁজে ফান্দে;
তবুও লিখতে হবে মন বলে তায়,
সতত না থেমে মন লিখে যেতে চায় ।


সবাই তো যায় লিখে ছন্দ অলংকারে,
কেউ বা আবার লেখে পাতি গদ্য ধরে;
আমার লেখার শুরু অবসাদ ক্ষণে,
লেখাপড়া ফাঁকে হেথা ভারাক্রান্ত মনে ।


কৌতূহল  ব্যতিক্রমী তবু মনে ভীতি,-
লিখলে লিখব আমি নিয়ে ভিন্ন রীতি;
এবম্বিধ অভিলাষে হৃদয় মজিয়ে,
আমার লেখার তরী দিয়েছি ভিজিয়ে ।


চতুর্দশপদী লেখা পড়ে বাল্যকালে,
মনের আকাশে ছন্দে লেখ্য ভূত জ্বলে;
চব্বিশ চরণে  লিখি,  ছয়টা চতুষ্ক,
প্রতি অক্ষরকে এক যুগ্ম বা অযুগ্ম ।


প্রতি কবিতার ভাষা এভাবে আরম্ভ,-
প্রথম  চতুষ্কদ্বয়ে  ভাবের প্রারম্ভ;
অতঃপরে অষ্টপদে ভাবের কথিকা,
অন্তিম অষ্টম পদে পরিসমাপিকা ।


কিছু মিশ্রবৃত্ত রীতি কিছু ব্যতিক্রমে,
প্রতিটি কবিতা শেষ চব্বিশ লাইনে;
ভাল হোক মন্দ হোক সেতো চিত্তবাদী-
এ  আমার প্রান-প্রিয়  চতুর্বিংশপদী ।।