শিয়ালদহ ষ্টেশন প্ল্যাটফর্ম চারে,
    উষ্ণ গ্রীষ্মের অস্থির এক দিপ্রহরে;
অকস্মাৎ দৃশ্যমান একটা বালিকা,
    ভু-নিম্ন মস্তকে বসে আছে ধূলিমাখা ।


সাত কি আট বছর বয়স তাহাঁর,
    আঁখি নিম্নে কালো দাগ দুঃখের পাহাড়;
অজানা কোন কষ্টের হিংস্র বেড়াজালে-
    তবু প্রাণ আছে টিকে সাহসের বলে ।


কঠিন প্রস্তরময় সুদৃঢ় ভূমিতে,
    লুণ্ঠিত শিশু-নয়ন টল মল মেতে;
অতি সূক্ষ্ম সল্পাকার টুকরো কাপড়ে ,
    নিষ্পাপ শিশু, জড়ানো মস্তক বাহিরে ।



শত দুঃখ বেদনার তাণ্ডব মাঝারে,
    স্নেহাশিস-দ্বার তবু রাখে মুক্ত করে;
মমত্ব বন্ধনে সদা কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে-
    চুম্বনে-আদরে রাখে সর্ব অঙ্গ ঢেকে ।


স্কুল গমন এমনি অভীষ্ট সময়,
    ভ্রাতার কষ্টমোচন এই অভিপ্রায়;
অনাহারে অর্ধাহারে কষ্ট সঙ্গী নিত্য,
    মনে সতত লালন যথার্থ ভ্রাতৃত্ব ।


স্বীয় জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে,
   অনাথ, ভাইকে সেটা যায়নি তো বলে;
আপনার বিষণ্ণতা ঠেলে বহুদূরে-
    প্রতিজ্ঞ ভাই বাঁচাতে প্রাণ বাজী ধরে ।।