আপন  ভেবে যতবারই যাকে
হৃদয়ে বসাতে যাই;
মানিক ভেবে ততবারই দেখি
উড়িয়েছি শুষ্ক ছাই ।


বিশ্ব ভুবন যে  এক অগ্নি পিণ্ড
জ্বলে আর শুধু জ্বালে;
মনের বিষাদে, দুঃখের দহনে
হীনমন্যতায় ঠেলে ।


যতবার খুঁজি পাষাণ তনুতে
হৃদ-রূপ সেই পাখি;
ততবারই ভ্রমে সন্ধান মেলে-
বিষম জ্বালার ফাঁকি ।


মন বলে কিছু আছে নাকি ওই
নিষ্ঠুর নারী অন্তরে ?
মুখে হাসি দিয়ে কেড়ে নেয় শত-
হর্ষ অচিন মন্তরে ।


সুসময়ে সাঁজে  সর্বশ্রেষ্ঠ মিত্র
ঢলাঢলিতে ও কমতি;
দুঃসময়ে তাঁকে খুঁজে পেতে দায়
নাহি করিলেও খামতি ।


কেন এমন হয় শুধু মোর ভালে
বিচ্ছেদই ধ্রুব সত্য;
মিলনের লোভ ছাড়ি কোন বলে
বাসস্থান সেতো মর্ত্য ।


আকাশের পানে চোখ মেলে দেখি
তারকারা জ্বলে মিটমিট;
আমার আকাশে মেঘ ও বিদ্যুৎ-
সততই করে খিটখিট ।


প্রশান্ত মহাসাগরেতে যখন
বয়ে চলে নিরাবতা;
আমার দেহের জলবিন্দু জুড়ে-
সুনামির নাশকতা ।


দক্ষিণা হাওয়া শীতলতা দেয়
তপ্ত গ্রীষ্ম দাবদাহে;
মাঘ নিশীথের হাড় কাঁপা শীতে
মন জ্বলে অগ্নিবহে ।


অশান্ত জীবনে যতবার ভাবি
স্বপ্নের রানী এইতো;
জীবনের দুঃখ ভাগ করে নেবে
এমন নারী নেইতো ।


ভেবে দেখি আজ বেঁচে থাকা মানে-
মরণের পানে ছোঁটা;
মরতেই হবে মরণই সত্য
বেঁচে থাকা বিন্দু ফোঁটা ।


চলে গেছে ওঁরা, চলে যাব সবে-
পরে রয় ক্ষণ মায়া;
জীবন যাপন প্রেম লীলা খেলা
কল্পনার কালো ছায়া ।।