নামাজ সাদকা তাসবিহ তেলাওয়াত
অশ্রু ঢেলে চাই ভিক্ষা জীবন,
মাগো ভাগ্য বদলে দেয়নি মোনাজাত
খোদার চুড়ান্ত আদেশ মরণ।


যবে দেহ ছেড়ে ছুটে আত্মা তোমার
পরকাল পানে ভয় ক্রন্দনে,
ছিঁড়়ে ঝটকা টানে কলিজা আমার
হঠাৎ বিরতি হৃদস্পন্দনে।  


হায়! ভেঙ্গেছে মাথায় সাত আসমান
চেপেছে কষ্টের পাহাড় বুকে,
ঝাপসা চোখে দেখি দিবানিশি সমান
মা হারিয়ে মরি যে ধুকে ধুকে।  


ভাবতে বড় কষ্ট হয় দেখবো না আর
মায়ের মুখের অপরুপ হাসি,
মায়ার আঁচলে মুছে দিবে কে আমার
দুঃখে ঝরা অশ্রু রাশি রাশি।


প্রতি মুহূর্তেই তোমার স্মৃতি মনে পরে
মা ফের ছুঁয়ে দেখতে মন চায়,
নির্ঘুম রাত নাওয়া খাওয়া ছেড়ে ঘরে
কষ্টে বুকফাটা আর্তনাদে যায়।


গাল কপাল আর পদতলে চুমু খেতে
করতাম শিশুর মতন কায়দা,
নেক নজরে বারবার দেখে চেহারাতে
পেতে হজের সওয়াব ফায়দা।


মা হারিয়ে হলাম দুর্ভাগা এতিম নিঃস্ব  
কে দিবে দুঃখ পেলে সান্ত্বনা?
থেমে নেই কেহ ছুটে চলে অসার বিশ্ব
অনুভবে মোর মায়ের কল্পনা।  


যেথা গেলে ফিরবে না কেউ যে আর
চির অমোঘ বিধান স্রষ্টার,  
তুমিও ছেড়ে গেলে সে জগত সংসার
মেলে যেনো রবের দিদার।


আঁধার গোরে থাকবে না কেউ সাথী
মা বাবারে মিলাও জল্দি প্রভু,
যেথায় গিয়ে জ্বালবে না কেউ বাতি
বেহেশ্তী নূর নেভেনা যেন কভু।


মা কেমন আছো জানতে মনটা চায়
ছিলে আমার দুনিয়ার জান্নাত,
কেড়ে নিয়ে রহমান দিয়েছে কি হায়
আখেরাতের অনন্তঃ জান্নাত?


ক্ষমা করো কবর আজাব হে রহমান
অপার দয়া রেখো নসিবে,
স্বর্গের পোশাক, দাও রিজিক বহমান
সেরা জান্নাহ বিনা হিসাবে।


হাউজে কাউসারের পানি যেন জোটে
হাশরে নবীর শাফায়াত মায়া,
কঠিন বিচার দিবসে সূর্য তাপ প্রকটে
মালিক দিও আরশের ছায়া।


বিনা বিচারে রহমত দিয়ে তড়িৎ বেগে
পার করো পুলসিরাতের পুল,
জান্নাহর ফয়সালা দিতে যেওনা রেগে
মালিক একুল ওকুল দুই কুল।