(প্রয়াত পরম শ্রদ্ধেয় বাবার স্মরণে)
হঠাৎ পরকালে যাবে চলে, ভাবিনি বাবা
কে আগলে নেবে বলো, এলে শত্রুর থাবা।
তুমি অনুভবে সারাক্ষণ, কাঁদি বসে একা
নেই কোনো অর্থ বুঝি, আর বেঁচে থাকা।
অনন্ত শান্তির আশায় ধরার সুখ করেছো বর্জন
সততা ন্যায়ে দৃঢ় প্রত্যয়ীর, মহত্ত্ব গাঁথা অর্জন।
স্মৃতির কোণে কোণে ছোটে অশান্ত এ মন
নাওয়া খাওয়া ঘুম নেই কঠিন মর্ম বিদারণ।
তোমার প্রচণ্ড অভাব বোধে কাঁদি দিবা রাত
মাথায় হাত বুলিয়ে, সাহস দেয় না ও দুহাত।
আমি নিঃস্ব, দেখে বিশ্ব, শোনায় সান্ত্বনার বাণী
আহা কি যে কষ্ট! বাবা হারানোর যন্ত্রণার গ্লানি।
হাহাকার করে বিদীর্ণ এ বুক, শূন্য এই জীবন
ধৈর্য দাওগো খোদা, নাহয় চাইবো কি মরণ?
হৃদয় গলা অশ্রু নিয়ে উঠাই অবশ এ দুহাত
কবুল করো দয়াময় ওগো তাঁর মাগফেরাত।
ক্ষমা করে দাও না খোদা কবরের আজাব
দোযখের আগুন থেকে দিওগো নাজাত!
সন্তানের আর্তনাদে ওঠে কি আরশ কাঁপিয়া
রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানী সাগিরা।
বলো হে খোদা - "সন্তোষ তোমার পালনকর্তা
প্রবেশ করো আমার জান্নাতে হে প্রশান্ত আত্মা।"