তুমি হয়তো জানোনা
তুমি ঘুমিয়ে গেলে আমি তোমার নিষ্পাপ মুখখানার দিকে
ঠিক কতোটা সময় অপলক তাকিয়ে থাকি!
তুমি হয়তো জানোনা
হাসপাতালে যে কয়টা রাত ডিউটিতে কাটাই প্রতিটি রাতে
কতো শতোবার হৃদয়ে তোমার ছবি আঁকি!

তুমি হয়তো জানোনা
কেউ আমায় দামি রেষ্টুরেন্টে ভালো কিছু খাওয়াতে চাইলে
কতো বাহানায় সেই খাবারকে প‍্যাকেট করিয়ে বাসায় নিয়ে
আসি শুধু তোমার জন‍্য।

তুমি হয়তো জানোনা
ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটের সময়টা তোমার সাথে কাটানো
মধুর সব স্মৃতির কথা স্মরণ করে করে অনায়াসে কাটিয়ে
দিয়ে আমি হই ধন‍্য।

তুমি হয়তো জানোনা
তোমাকে নিয়ে দু-চার লাইন লিখতে লিখতেই একদিন
লোকে আমায় নামের আগে লাগিয়ে দিলো কবি।
তুমি হয়তো জানোনা
ক‍্যামেরায় তোমার ছবি না উঠালেও প্রতিনিয়ত কবিতার
লাইনে লাইনে নির্মাণ করি আমি তোমারই প্রতিচ্ছবি।

তুমি হয়তো জানোনা
তোমার জন‍্য রান্না করতে আমার যে সে কি ভালো লাগে!
তুমি হয়তো জানোনা
তোমায় আমি একরকমই ভালোবাসি সদা রাগে-অনুরাগে।

তুমি হয়তো জানোনা
তুমি আমার কে!
জীবনের সাদা সুরমা শরতে আমার সাদা সবুজ কাশবনের
আকাশে তুমি একফালি রুপালি মিষ্টি অর্ধবৃত্ত চাঁদ;
তুমি হয়তো জানোনা
তুমি আমার প্রাণ,
চরম দুশ্চিন্তায় ক‍্যারিয়ারের টানাপোড়েনের দিনগুলোতে
তুমি আমার জন‍্য পরম শান্তিতে হেলান দেয়ার কাঁধ।