তোর বাড়ি আর আমার বাড়ি একই নদীর পাড়,
একই হাওয়ায় প্রাণ ভরে নেই, একই নদীর ধার।
দুপুর বেলায় স্নান- গোসলে, শীতল করি গা,
রাত গড়িয়ে সকাল হলেই শিশির ভেজাই পা।
প্রভাত হলে তুই মন্দিরে, আমি যাই মসজিদে,
আল্লাহ - ঈশ্বর প্রার্থনা চাই, দু'চোখ ভরে কেঁদে।
কুরান- গীতায় খুঁজি মোরা সরল পথের দিশা,
জীবন পথের আঁধার রাতের ঘুচাই অমানিশা।
জল-পানিতে তৃষ্ণা মিটাই, ডালে ভাতে ক্ষুধা,
আহার নিদ্রা সব-ই বিধির , অপরূপ বসুধা।


সুন্দর এই ভূবনে মোরা জাত খুঁজি ক্যান্ ভাই,
হিন্দু- মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান একই জায়গায় ঠাঁই।
চেয়ে দেখো রাজ পথে আজ রক্ত নেশার খেলা,
জাতের নামে বজ্জাতি সব , মানব অবহেলা।
অগ্নি জ্বলে মসজিদ-মন্দির, হৃদে কালো থাবা,
কেউ খুঁজে না এই অন্তরের মানবতার কাবা।
ধ্বংস শুধু চতুর্দিকে__ অসভ্যতার রাহু গ্রাস,
শংকিত আজ মানব জাতি, ধর্ম তীরে ধ্বংস সাজ


মহান প্রভূর নিয়ামতে চলছি দিবা - রাত্রি,
দিনের শেষে বিকেল বেলা আমরা গোরের যাত্রী।
আয় না বন্ধু হাত বাড়িয়ে, রক্ত খেলা বাদ দেই,
মানবতার গুলবাগিচায় পুষ্প ঘ্রাণের সাধ নেই।