নারী তুমি মহীয়সী, মমতায় ভরা, বেদনার তাজা প্রাণ
বক্ষে তোমার প্রীতিমহি  স্রোত,  উল্লাসের জয়গান।
নারী  তুমি   শাসনের   চোখে,  শাসকের   তরবারি,
তোমার পদচিহ্নে  খাঁ খাঁ মরুতে, সুখের ঝর্ণা বারী।
তুমি  মাতা, ভগ্নি,   অগ্নিগিরির,   শাশ্বত  মুক্তি  পথ,
তোমাতে রয়েছে প্রেমময়ী বাণী, যুদ্ধ বিজয়ের শপথ
তুমি গোলাপের রেনু, মধু মক্ষিকা, সৃষ্টির সেরা ফুল,
শ্রাবণের মেঘে অকাল বৈশাখীর এলোকেশে খোলা চুল।
রাখাঁলের  প্রেমে  উদাসী  মনে, খুলো হৃদয়ের দ্বার,
স্বতী  সর্বত্র খুঁজে  ফিরো তুমি, সেবাময়ী কৃতদার।
শত ব্যঞ্জনার, শত আঘাতের পাহাড় দলিয়ে রোজ
দু'চোখ বুঝে ভালবাসার খুঁজে, ছুঁটে চলো হররোজ।
নারী তুমি  বাবুই  কারিগর,  নিপুঁন  হাতের ছোয়ায়,
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে, কালে কালে তুমি, বিরাজ আত্নীকথায়।
তোমারি পরশে, জুড়ায়ে আবেশে, জঠরে দিলে গুনী ঠাঁই,
আমৃত্যু তুমি বিধাতারে যপেছো, মানিকেরে বাঁচাও সাঁই।
শীতের নিশিতে ভেজা কাঁথায় শুয়ে, নির্ঘুম কাটিছে রাত,
বিশ্বনিখিলে ত্যাগে ত্যাগে সয়ে,  তবুও জাগেনি প্রভাত।
চিতার   অনলে  সতীদাহ  তুমি,  করেছ  আত্নবরণ,
বুক পেতে তুমি কত সাহসে, হাসিমুখে নিয়েছ মরণ।
স্বার্থের  কাছে  নারী  তুমি ওগো, নিঃস্বার্থ বলিদান,
সম্পদের অধিকারী পাহাড়সম তুমি, ভালবাসার অভিধান।
ভাঙাগড়ার কাজে, গড়া তুমি এক, অমূল্য বাতিঘর,
শাসন -ত্রাসন, প্রেম ,ভালবাসায়, প্রেমময়ী আজ ভূ-ধর।