কোনো এক বৃষ্টির দিনে আমি হয়তো থাকব না...
সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হবে,ভাবুক মানুষেরা অজানা আবেগে গদ্য কি পদ্য লিখে বসবে।
রঙিন অট্টালিকার ভেতরের দামী মানুষেরা জানালার ফাক দিয়ে আকাশ দেখবে।
ছনে ছাওয়া দোচালার ভেতরের সস্তা মানুষেরা চালের ফুটোয় আকাশ দেখবে!
সেখানেও আমি থাকব না,কিন্তু বৃষ্টি আমার অনেক প্রিয়!
সেদিন একহাটু কাদা মাড়িয়ে একটি বালক স্কুলে যাবে,আবার কাকভেজা হয়েই সে ঘরে ফিরবে।
আবার বিলাতি গাড়ির গ্লাস বেয়ে নামা পানির ফোটায় কেউ রোমাঞ্চে হারাবে।
হয়তো পাড়ার ছেলেরা ফুটবল নিয়ে মাঠ ফাটিয়ে বুনো উল্লাস মাতবে।
কেউবা অন্ধকার ঘরে চুপটি করে স্মৃতিতে হারাবে।
আর আমি! চুপ করে মাটির নিচ থেকে কান পেতে বৃষ্টির শব্দ শুনব,
সাড়ে তিন হাত নিচ থেকে হয়তো অনেকটা ছাতির উপর আছড়ে পড়া শব্দের মতো শুনাবে,
আমি চুপটি করে শুনব..পোকাদের দল দ্বিগুণ উৎসাহে আমায় ছিড়ে খাবে,আমি চুপটি করে দেখব।
সেদিনও বৃষ্টি থাকবে,কয়টি অস্থি ছাড়া আমার বাকিটা বৃষ্টির সাথে মিশে যাবে,
একটা তরুণ চারা বুকের ঠিক মাঝের আস্থিটি ভেদ করে উঠবে।
বৃষ্টি আর আমায় এক করে গড়ে উঠা স্যাঁতসেঁতে পৃথিবীতে সে আসবে।
বৃষ্টির প্রতিটি কণা তার নব যৌবনের সূচণা করবে,
যেদিন বৃষ্টি থামবে বৃক্ষটিও সেদিন থাকবে না......