কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রজ্জ্বলিত নিধন যজ্ঞের শিখা।
সুকৌশলে প্রবেশ করে কেঁড়ে নিল প্রাণ,
অভিযোগের তীর পর্যন্ত ভেঙে খানখান,
অপরিপক্ক ভাবনার বলি হয়ে কাঁদছে সুখের জয়টিকা।।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারিদিক নিস্তব্ধতায় পরিপূর্ণ।
চিরাচরিত স্বপ্ন গুলো আজ প্রচন্ড অচেনা ,
আবেগে যুক্ত হয়ে কাঁদছে যত কামনা বাসনা,
এমনি নাজুক অবস্থা, মৃত্যুও কেমন জানি অসম্পূর্ণ।।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেঘের প্রচন্ড গর্জন গগনে।
ঘর বেঁধে দিতে ভুলে গেলাম ঘরের ছানি,
অনায়াসে ঢুকে গেল শত বরষার পানি,
ঘরের সাথে আমাকেও ভাসিয়ে নিল অতি সযতনে।।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছয়জনের সর্বনাশী চিৎকার।
একটু গুছানোর সুযোগ পর্যন্ত দিল না,
সবকিছু লুটপাট করে দিয়ে গেল যাতনা,
ওদের চরম চক্রান্তে সাজানো সংসার ভেঙে ছারখার।।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধরা দিল সেই লাজুক চেহারা।
অবনত হয়ে কেবলি নীরবে কাঁদতে দেখি,
কাকে ফেলে আজ কাকে আপন করে রাখি,
বুঝলাম, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ধরাশায়ী জীবন মানেই নিজহারা।।