শুনতে গেল শত আর জানতে গেল সহস্র বছর।
চিনতে যাবে হয়তো লক্ষ,
মিশতে যাবে কত বছর কারো কাছে নেই সদুত্তর।
কুল ছেড়ে মাঝনদে তরী আজ বুকে হাহাকার।
জানলে আগে নিতাম তুলে,
সমন্বিত মূর্চ্ছনার যৌবন দীপ্ত অঙ্গীকার।।
ঊর্ধ্বে চেয়ে দেখি নীলাকাশ আপন মূর্তিতে।
নিম্নে জলরাশি খেলিছে দেখি,
পাতাল ভুবনের মস্তকে দাড়িয়ে ছন্দময় গতিতে।।
বহুকাল পরে একাকী লাগে প্রকম্পিত হৃদয়।
অশ্রু মুছি বারংবার নীরবে,
কোথা থেকে এসেছি কোথায় যাব ভেবে নাহি পাই।।
হঠাৎ সম্মুখে দেখি ভেসে চলে একখান মোহনীয় নাও ।
মাঝি মুখে মুচকি হাসি,
অনন্ত আশা নিয়ে ডাকলাম মাঝি আমারে বাঁচাও।।
সমুদ্রের প্রচন্ড গর্জনে কে শোনে কার কথা।
আবার সেই নিঃসঙ্গ হলাম,
মনে পড়ে বারবার পরিজনদের আবেগ বারতা।।
এবার দেখি সেই তরী আরো সামনে দিয়ে যায়।
মায়া ভরা কন্ঠে বললাম,
আমাকে তোমার নায়ে পৌঁছে দাও কুলের ঠিকানায়।।
হাসি মাখা মুখ মাঝির তরী ভাসে আপন ছন্দেতে।
বিপদে আর্তনাদ স্বাভাবিক,
না শোনা তাঁর স্বভাব বুঝলাম মাঝির আচরনেতে।।
আর কত একাকী ভাসব গভীর সমুদ্রের বুকে।
বেঁচে থাকার আশা হারিয়ে,
দুহাত তুলে বললাম প্রভু নিয়ে যাও আনন্দলোকে।।
এবার মাঝি কাছে এসে দুহাত বাড়িয়ে দিল।
পরশে তাঁর শান্ত হল দেহ মন,
যেন বহুসাগরের জল মোহনায় মিশিল।।
বুঝলাম অবশ্যম্ভাবীর কারিগর যে'জন হয়,
ডাকার কৌশল না জানলে ছলনায় পূর্ণ রয়।