জানি না কি ভেবে মম সুপ্ত হ্রদে ভাসালে সাধের তরণী।
আমা পানে চেয়ে দিবা-নিশি ভাসে তরী আপন মনে,
কি জানি তোমারি অর্চনার পুষ্প ফুটেছে কোন্ কাননে,
গভীর অনুরাগে সিক্ত আজ আমি 'ওগো তন্দ্রাহরণী'।।


সহসা এসে প্রাণেতে বসে তুলিলে অপরুপ সুর লহরী।
সুরের আগুনে দগ্ধ হয়ে নিজহারা আমি সারাক্ষণ,
পাই না খুঁজে তোমাকে কল্পিতে পারে কোথা সে স্বপন,
তোমাতে যুক্ত হতে মনের যত স্বাদ 'ওগো প্রাণেশ্বরী'।।


তোমার গগনে ভ্রমিতে গিয়ে রঙধনুর সাথে হলো দেখা।
সপ্ত স্বর্গ সাতটি রঙে লুকোচুরি খেলছে আনমনে,
এ যেন রঙের বাজারে ভাব বিনিময় চলছে সযতনে,
কামনা-বাসনা তুচ্ছ করে মুক্ত করো 'ওগো প্রাণাধিকা'।।


অকস্মাৎ জাগালে ঘুমন্ত পথিককে আপন ঐশ্বর্য দিয়ে।
চরমভাবে বিফলে গেল যত উপমা ছিল জগতে,
কোনো এক নব মহাকাব্য উন্মুখ তোমাকে রচিতে,
চিরদিনের সাধন সঙ্গী করে উদ্ধার করো 'ওগো প্রিয়ে'।।


তোমাকে বাঁধিতে যাকিছু লাগে কিছু নেই মোর জানি।
নিজগুণে এসে বাঁধা পড়ে যাঁরা তাঁরা সদা পূজনীয়া,
স্বীয় করুণায় একীভূত করো তোমার - আমার হিয়া,
কত আর লভিব জনম বলে দাও  'ওগো প্রণয়ীনী'।।