ধীরে চালাও তরী মাঝি ভয়ে হিয়া কাঁপে।
বারেক পিছু ফিরে দেখি আমা লাগি কাঁদে সে কি
নাকি হয়ে গেলাম স্মৃতি চোখের পলকে।।
হাতে হাত ধরে একসাথে ঐ ফুলে ঢাকা বনপথে
দুজনের হাটাহাটি আজ খুব বেশি মনে পড়ে।
রঙে ভরা সেই প্রতিটি ক্ষণ ছিলাম মোরা কত আপন
বাঁধিলো সে কি আমায় গভীর বিরহ ডোরে।
নাকি অনাদরে রাখিলো ফেলে সোনালী অতীতকে।।
যেটুকু সামর্থ্য ছিলো অন্নে বস্ত্রে গৃহে সবটুকু গেলো
মাতা-পিতা খুশী রাখিতে ছিলো সকল আয়োজন।
আর কিছু হোক না হোক জন্মদানে ঋণী অন্তরলোক
প্রচন্ত শোক বুকে নিয়ে তাঁরা কি করিছে ক্রন্দন।
নাকি আমা চেয়ে অধিক প্রিয় লাগে ঐ জগতটাকে।।
ভাই বোন পুত্র কন্যা সহ স্বজন নামে খ্যাত ছিল কেহ
আনন্দদানে কমতি ছিলো না কিছু যা মীমাংসিত সত্য।
স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে অজস্রবার বাঁধিনু হিয়েতে হিয়ে
সে বাঁধন আছে কি অক্ষুন্ন না কি বসত গেড়েছে দৈত্য।
পায়ে ধরি মাঝি, আর একবার দেখিতে দাও আমাকে।।
মাঝি বলে শুন যাত্রী মাঝপথে বৃথা তব পিছুটান।
যেখানে যাকিছু ছিলো সবকিছু অক্ষত রহিলো
দ্রুত চলো, মাঝ দরিয়ায় জোয়ার ভাটা সমানে সমান।।