বিশালতায় ক্ষুূ্দ্রতার অভিনব তান্ডবে কাঁপছি থরথর।
যারা হাসছে দেখছি তারা বিন্দুমাত্রও উৎসবমুখর নয়,
যারা কাঁদছে তারা সুকৌশলে নিয়েছে ছলনার আশ্রয়,
এমনি ভয়ানক পরিণতির সামনে আজ বিশ্বচরাচর।


কামনা-বাসনা যা-কিছু মনে চলছে তারি নিত্য বিসর্জন।
সন্মুখ সমরে প্রাণ দিতে গিয়ে অবনত হয়ে ফিরছি,
কিছুই জানি না কি কারনে কো্ন পথে শুধুই হাঁটছি,
এমনি ভয়ানক পরিণতির সামনে আজ যত আপনজন।


পশুত্বের দিকে ঝোঁক পরিলক্ষিত নিয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞান।
কিছুতেই ভুলতে পারছি না পশ্চাতের সুগভীর টান,
কোনভাবেই মিলছে না সেই পরম পুরুষের সন্ধান,
এমনি ভয়ানক পরিণতির সামনে আজ সাধুদের ধ্যান।


বাঁচিয়ে রাখার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ঠাঁই দিল ভুবন।
প্রেমের বিনিময়ে সহজে মিলছে অগাধ ভৎসনা,
অমুছনীয় কালিতে করছি কলঙ্কের বিশাল রচনা,
এমনি ভয়ানক পরিণতির সামনে আজ প্রাণের বন্ধন।


হে আনন্দলোকের অধিপতি,ক্ষম যত অপরাধ মোর।
নিজগুণে উন্মোচন কর মোর দিব্যচোখের পলক,
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তুমিই একমাত্র রক্ষক,
তোমার করুণা ছাড়া এ ঘোর রজনী হবে না কভু ভোর।