রত্ন সিংহাসন দেখে আনন্দে উদ্বেলিত।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে স্বগর্বে উপবিষ্ট কুরুকুল রবি,
রাজার মান মর্যাদা আজি নয় উপেক্ষিত।।


অন্যদিকে বিলম্বিত আগমনেও উৎফুল্ল ফাল্গুনি।
প্রণমি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা করজোড়ে ভুমিতে আসন নিয়েছে,
অপেক্ষার পালা কখন জাগে নীলকান্তমণি।।


একজনের দৃষ্টি আরেকজনের দিকে লয়ে স্বীয়ভাব।
রিপুতে আক্রান্ত হয়ে ধরাশায়ী একজন জীবন্মৃত প্রায়,
জ্ঞানের কাছে সর্বদা অবনত মস্তক অন্যজনের স্বভাব।।


অবশেষে জাগিল জগন্নাথ কপট নিদ্রা থেকে।
সব্যসাচীকে বুকে জড়ালো প্রাণ-সখা প্রাণ-সখা বলে,
গান্ধারী পুত্রের গর্জনে ধরণী উঠলো কেঁপে।।


আগে আসা,আগে দেখা,আগে পাওয়া-নিশ্চয়তা নেই।
শিয়রের পাশে সিংহাসন আর ভুমি চরনের কাছে,
নিদ্রা ভঙ্গের দৃষ্টি যেদিকে যায় সেদিকে গেল সহজেই।।


আপন শক্তি উন্মোচিত হবেই হবে কৌশলের বলে।
সুকৌশল ধরা দিবেই দিবে উৎকৃষ্ট চিন্তার ফলে,
সুচিন্তা তাদেরই সম্পদ যাঁরা আছে তৃতীয় নয়ন মেলে।।