আবার যখন আসবে কোনো এক গোধূলি লগন,
প্রাণ খুলে গেও চিরদিনের সেই গান,
বকুল গন্ধে ভরপুর রেখো মনের বাগান,
যাতে তাঁর আকুতিতে কেঁদে মরে এ মায়ার ভুবন।
আবার যখন ভাসবে তরী কোনো এক দুরন্ত সাগরে,
শক্ত করে পাল খানি বেঁধে রাখিও,
ঝড়-তুফানের গতি গোপনে রুখিও,
যাতে বাতাস প্রচন্ড ভারী হয় তাঁর নিস্ফল হাহাকারে।
আবার যখন কোকিল ডাকবে কোনো এক নব বসন্তে,
পলাশের আলতা দিয়ে রাঙায়ো চরণ যুগল,
সিদ্ধ হস্তে রচিয়ো সেই কাঙ্ক্ষিত বনতল,
যাতে মর্মস্পর্শী ব্যাথা বুকে প্রবেশ করে তাঁর অজান্তে।
আবার যখন উন্মাদ হবে চাঁদ কোনো এক পূর্ণিমা রাতে,
স্বপ্ন কুঠির নির্মাণ করো নিরলে বসিয়া,
সগৌরবে থেকো কাব্যের উপমা হইয়া,
যাতে শত চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয় সে তাঁর নয়ন বারি শুকাতে।
আবার যখন প্রেম এসে আপন মনে লুকোচুরি খেলিবে,
সাধন যজ্ঞ এমন ভাবে করো সম্পাদন,
তোমার অন্তরখানি যেন হয় সিদ্ধাশ্রম,
দেখে নিও, তোমাতে মুক্ত হতে তাঁর জনম জনম যাবে।