হারায়ে তোমারে খোঁজে, নিদহারা এ আঁখি
কতশত লগন, শতাব্দী ধরে
তোমার বন্দনা, দিনমান জপি-
বদ্ধ দুয়ার খুলতে ডাকি।


জানি শোন নাই মোর কান্নার গান,
সন্ধ্যামালতীর রসে চিরকুট লিখে
তাই তোমারই মতন নিদ্রিত ধ্যানে-
ফুলেশ্বরীর অতল জলে করব আত্মদান।


পরজনমে ফুলমালা হব তোমার পেজা চুলে,
বাতাস হব, সময়-অসময় তোমার গায়ে পড়তে ঢলে।
তোমার বুকের পুড়ুনি হব, থাকব চোখের জলে-
তোমার সনে গাটছড়া লাখো কলা-ছলে।


আমার কাঁদনে পাথর গলেছে, জোসনার হাহাকার
স্বর্গ-মর্ত্য দুকূল জুড়ে শোক জেগেছে কতবার-
আমার বাঁশরির বিষে,
যমদূত এসে হার মেনেছে
শুধু তুমি ফেরো নাই শেষে।


চেয়ে দেখ নাই কাঙাল আমারে
তাই তোমারে দেখার পিপাসা নিয়ে বারবার ফিরে চাই,
নিয়তির লেখা, ততবারই তোমারে হারিয়েছি সর্বদাই-


তবু আকাশ-কুসুম ভাবনার ঘোর,
দুয়ার খুলে মাঝ নিশিথে, একদিন ফুলেশ্বরীর বাঁকে-
তুমি ফিরবে, আমারি বাঁশরির ডাকে।


(অর্ফিয়াস, বাঁশির সুরে মুগ্ধ করে যমপুরী থেকে মৃত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা গ্রিক মিথের অমর প্রেমিক।... জয়ানন্দ বাংলার প্রাচীন মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর জন্য আত্মাহুতি দেওয়া ব্যর্থ প্রেমিক।)


-১২-১৩ আগস্ট, ২০১৬, মিরপুর।